নিজস্ব প্রতিনিধি :
সোনাগাজী উপজেলার বড় ফেনী নদীতে বালু তোলা নিয়ে দ্বন্ধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকন ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় মেয়র খোকন গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মেসার্স প্রত্যয় এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার নুরুল আলম বাদি হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোমবার দুপুরে মামলাটি দায়ের করেন। প্রত্যয় এন্টারপ্রাইজ সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মজিবুল হক রিপনের মালিকীয় প্রতিষ্ঠান।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সোনাগাজী থানার সোনাপুর বালুমহাল এর মুহুরী প্রজেক্টের ১ হাজার মিটার উত্তর থেকে প্রবাহমান বড় ফেনী নদীতে সোনাপুর মৌজার ৬০১৭নং দাগের উত্তর সীমানায় ৮৪ একর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ফেনী থেকে ইজারা নিয়া সরকার রাজস্ব প্রদান করিয়া বালু উত্তোলনের অনুমতি নেয়া হয়েছে। শুক্রবার বারইয়াহাট পৌর মেয়র রেজাউল করিম খোকন ১৫-২০ জনের দলবল নিয়ে লিজকৃত জায়গায় প্রবেশ করে বালু উত্তোলনের চেষ্টা করে। বাধা দিতে চেষ্টা করলে এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে তাদের তিন লাখ টাকার ২৫ হাজার ঘনফুট বালু, ৭৮ হাজার টাকা মূল্যের ২০টি ড্রামে থাকা ৬শ লিটার ডিজেল, ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা দামের ৪টি জাহাজের ১৬টি ব্যাটারী সহ ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে। এছাড়া আরও ৭ লাখ টাকা মূল্যের জিনিসপত্র ভাংচুর করে।
বাদিপক্ষের আইনজীবী কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগ জানান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুল হাসানের মামলাটি আমলে নিয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় অন্তর্ভূক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত; একই ঘটনায় এর আগে শনিবার সকালে মেয়র খোকনের সহযোগী মিজানুর রহমান নামে একব্যক্তি বাদী হয়ে ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুল হক রিপন সহ ১২জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছেন। ওই মামলায় চারজন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে।