নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী জেলা পুলিশের আয়োজনে উৎসব ও আনন্দমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বরণ ও ঈদ পুনর্মিলনী উদযাপন হয়েছে। বুধবার শহরের পুলিশ লাইন মাঠে অনাড়ম্বর এ অনুষ্ঠানে পুলিশ পরিবারের সদস্যগণ ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, বিচার বিভাগ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিগণ অংশ নেন। দেশের খ্যাতিমান কন্ঠ শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। পুলিশ সুপার জাকির হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহিনা আক্তার। এছাড়া অতিথি ছিলেন চীফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতাউল হক, ফেনী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইন, এফবিসিসিআই পরিচালক ও স্টার লাইন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী আলাউদ্দিন, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। পুলিশ সুপারের সহধর্মিনী ও পুনাক সভানেত্রী নুসরাত রহমান এবং জেলা পুলিশের অপর কর্মকর্তাগণ অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সাবেক সচিব ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী, পুলিশ সুপারের শশুর ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব আজিজুর রহমান মোল্লা, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়রঞ্জন দত্ত ও মোস্তফা হোসেন সহ সাংবাদিক, সুশীল সমাজের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, “পুলিশ জনগনের অতন্দ্র প্রহরী। দেশের মানুষের শান্তিপূর্ণ ঘুম নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ বিনিদ্র রজনী কাটায়। দেশের মানুষের যাত্রাকে সচল রাখার জন্য রোদেপুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিশ সদস্যরা দিনরাত কাজ করে। রাজারবাগ পুলিশ লাইন দেশে প্রথম হানাদার বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছিল। পুলিশ সদস্যরা সর্বপ্রথম বিদ্রোহ করেছিল। বৃহত্তর নোয়াখালীর কৃতি সন্তান মাহমুদ সহ অনেক পুলিশ কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা আত্মহুতি দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যরা অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কঠিনতম দায়িত্ব পালন করে অন্য দেশের তুলনায় পৃথিবীতে বিরল। কাজ করতে গেলে ভুল হয়, সমালোচনা হয়। দিন যত এগুচ্ছে, পুলিশ তত আধুনিক হচ্ছে। পুলিশের চিন্তা-চেতনায় অনেক পরিবর্তন আসছে। ফেনীতে বিগত নির্বাচনে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করেছে। এরপরই রোজা এবং ঈদ। এর রেশ কাটতে না কাটতেই এসেছে উপজেলা নির্বাচন। পুলিশ সাধারণ মানুষের বন্ধু; এই বিষয়টি যাতে মানুষ আরো বেশি করে ভাবতে পারে ব্যবহার ও আচার-আচরণে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।”
সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেছেন, “ঈদের পরবর্তী সময়ে সবাইকে নিয়ে পুলিশ সুপার যেই আয়োজন করেছে এজন্য অবশ্যই ধন্যবাদ। রোজায় কনস্টেবল থেকে পুলিশ সুপার পর্যন্ত নিরলস পরিশ্রম করে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপনের সুযোগ করে দিয়েছেন। এখন ফেনীতে কোথাও কোন সহিংসতা নেই। সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা সবাইকে একটি পরিবারের মত কাজ করছি। আগামীতেও যেন সেটি অটুট থাকে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা সবাই সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। আগামীতেও ফেনীতে এ ধরনের পরিস্থিতি বিরাজমান থাকে।”