কথা রাখলেন মেয়র স্বপন মিয়াজী
নিজস্ব প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদ-উল-আযহার দিন কোরবানির পশুর বর্জ্য মাত্র ৬ ঘন্টায় অপসারণ করেছে ফেনী পৌরসভা। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুর থেকে বৃষ্টির মধ্যে পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর নির্দেশনা মেনে নিরলস ভাবে কাজ করে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
ফেনী পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ডাক্তার পাড়া, পশ্চিম ডাক্তার পাড়া, পাঠান বাড়ি রোড শহরের সবচেয়ে জনবসতিপূর্ণ এই ওয়ার্ডে বেশি পশু জবাই হয়। তাই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজ শেষ করতে দেখা যায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের। এছাড়া ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রামপুর পাটোয়ারী বাড়ী সড়ক, চৌধুরী বাড়ী সড়ক, সওদাগর বাড়ী সড়ক, মির্জা বাড়ী সড়ক, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ সেলিনা পারভিন সড়ক, নাজির রোড ও শান্তিধারা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করে পরিচ্ছন্নকর্মীরা।
ফেনী পৌরসভার মেডিকেল অফিসার কৃষ্ণপদ সাহা জানান, ফেনী পৌসভার ১৮টি ওয়ার্ডে পশু জবাইয়ের জন্য ৮১টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই নির্ধারিত স্থান গুলোতে পশু জবাই করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাসা-বাড়ির সামনে রাস্তায় পশু জবাই হয়েছে। সেইসব স্থান থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করতে পরিচ্ছন্নকর্মীরা ট্রলি, রিক্সা ভ্যান ও ময়লা বহনকারী ট্রাকে করে নির্দিষ্ট ডাস্টবিন ও নির্ধারিত স্থানে ডাম্পিং করে। পরে বর্জ্য গুলো ট্রাকে করে দেওয়ানগঞ্জে ডাম্পিং করা হয়।পাশাপাশি যে সব স্থানে কোরবানি করা হয়েছে, সেই সব স্থান পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করণ ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দূষণমূক্ত করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে বড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ফেনী পৌরসভার থেকে দেয়া ব্যাগ (বস্তা)। কোরবানির পর বর্জ্য রেখে দেওয়ায় সহজে পরিস্কার করা দ্রুত সম্ভব হয়েছে বলে জানান পরিচ্ছন্নতাকর্মী রুহুল আমিন।
১০ নম্বর ওয়ার্ডের সুপারভাইজার নুর করিম জানান, “মেয়র স্যারের দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আমরা পুরো শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ করছি। মেয়র স্যার আমাদের উপর ভরসা রেখেছে আমরা সন্ধ্যার আগে সেটি রেখেছি।”
১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জামশেদ আলম, আবুল কাশেম, মোরশেদ আলম জানান, কোরবানী হয়েছে সেটি বোঝা অসম্ভব। কোথাও কোন ধরনের ময়লা আবর্জনা নেই। পুরো পাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং দুর্গন্ধমুক্ত রয়েছে।এজন্য তিনি পৌর মেয়রকে ধন্যবাদ জানান ।
ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী জানান, “আমার প্রতিশ্রুতি ছিলো ৬ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা। পৌরবাসীর সহযোগিতায় ৬ ঘণ্টার আগে সেই প্রতিশ্রুতি আমরা পূরণ করেছি। প্রতিশ্রুতি পূরণে যারা আমাকে সহযোগিতা করেছে তারা হল পৌরসভার পরিছন্নতাকর্মীরা। তারা বৃষ্টিতে ভিজে নিরলস পরিশ্রম করে আমার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছে। পৌর শহরকে পরিষ্কার দুর্গন্ধমুক্ত করতে সম্ভব হয়েছে। সেজন্য আমি তাদের সবাইকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
বর্জ্য অপসারণ ব্যাগ ব্যবহার করায় পৌরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পৌর মেয়র বলেন, “আপনাদের এই সহযোগিতা সামনের দিনগুলোতে অব্যাহত থাকলে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্বপ্ন আধুনিক, স্মার্ট ও দৃষ্টিনন্দন শহর গড়ে তোলা সম্ভব।”
এছাড়া বর্জ্য অপসারণের সংবাদ প্রচার করা ও সব সময় সাংবাদিকদের পাশে থেকে সহযোগীতা করায় সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান পৌর মেয়র।