সময় ডেস্ক :
গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ রূপ নিয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আজ সোমবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো ফেনীতেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে- ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় সোমবার সকাল থেকে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো বাতাস বইছে। সেই সঙ্গে ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার পর্যন্ত অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এজন্য সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সিপিপির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওই নির্দেশনার পর উপজেলা প্রশাসন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সিপিপির ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দূর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
সূত্র আরো জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিদের্শে একজন আবাসিক চিকিৎসককে প্রধান করে উপজেলা সদরে ৫টি এবং ৯ ইউনিয়নের জন্য ৯টিসহ ১৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সিত্রাংয়ের প্রভাবে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলায় ১০০টি ইউনিটের ২হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। রবিবার বিকাল থেকে প্রতিটি ইউনিট দল নেতাকে মোবাইল ফোনে রাতে সর্তক থাকাসহ স্বস্ব এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতকরন ও উপকূলের খোঁজখবর রাখতে প্রয়োজনীয় নিদর্শনা দেওয়া হয়েছে।
