এড. রাশেদ মাযহার
উনিশ শ পঁচাত্তর সালের ১৫ আগস্ট স্ব-পরিবারে নির্মম ভাবে নিহত হন হাজার বছরর শ্রেষ্ঠতম বাঙালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-৭৫)। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত দেশি-বিদেশি শত্রæদের ষড়যন্ত্রের যুপকাষ্ঠে নিষ্ঠুর বলি হন বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের সদস্য সহ ১৫ আগষ্টের অপরাপর শহীদগণ। কতিপয় বিপথগামী ও পাকিস্তানী ভাবধারায় বেড়ে উঠা কুচক্রী দেশদ্রোহী সেনা সদস্য প্রত্যক্ষভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটালেও পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে দেশি-বিদেশি অনেক ষড়যন্ত্রকারী ও রাষ্ট্রীয় এজেন্ট। কারণ একটাই – মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীন স্বপ্নযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়া এবং পুঁজিবাদী ব্যবস্থাপনার বিপরীতে ‘অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শোষন মুক্ত সমাজ ব্যবস্থার’ নতুন রাজনৈতিক দর্শন মাধ্যমে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার যে অভিযাত্রা বঙ্গবন্ধু বিশ্বরাজনীতিতে সঞ্চার করতে যাচ্ছেন, তা শুরুতেই থামিয়ে দিয়ে পুঁজিবাদের পথ নিষকন্টক রাখা। পঁচাত্তরের আগস্ট ট্র্যাজেডির মাধ্যমে কুচক্রীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে প্রাথমিক বিজয় অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রাকে থমকে দিয়েছিলো, এটি সত্য- কিন্তু আজকের বাংলাদেশ প্রমাণ করছে যে, শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয়েছে কুচক্রিরাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরেই বাংলাদেশ আজ নানান অর্জনের মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের শক্ত অবস্থান, যে কোনো সূচকেই বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন পৃথিবীর বিস্ময়।
অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায় শোষিত মানুষের মুক্তিই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল কথা। তিনি সেই কৈশোরকাল থেকেই শোষিত-বঞ্চিত-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সকল প্রকার শোষণ থেকে মানুষের মুক্তির পথ খুঁজে বেড়িয়েছেন। এই পথ খুঁজে বেড়ানোর দূর্মর ইচ্ছা শক্তিই তাঁকে পাকিস্থানি জান্তা ও শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রেরণা দিয়েছে—এই ইচ্ছা শক্তি ও তার যথাযথ প্রয়োগ তাঁকে এনে দিয়েছে বিশ্বের শোষিত মানুষদের অবিসংবাদিত নেতার মর্যাদা। এ জন্যেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর বিশ্ব সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা কিউবার জাতির জনক ফিদেল ক্যাস্ত্রো (১৯২৬-২০১৬) দৃপ্ত কন্ঠে বলেছেন : ‘আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব এবং সাহসিকতায় তিনিই হিমালয়। শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারাল তাদের একজন মহান নেতাকে, আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে।’ প্রকৃত অর্থেই ততদিনে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের একজন মহান নেতা। কেবল বাংলাদেশের নয়, বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর সকল দেশের শোষিত মানুষের মুক্তির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। উনিশ’শ তেয়াত্তর সালে অনুষ্ঠিত আলজিয়ার্সের জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে সুস্পষ্টভাবে বলেছিলেন : ‘বিশ্ব আজ দুভাগে বিভক্ত—শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।’ শোষিত মানুষের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর এই অবস্থান বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে, বিশ্বের শোষিত নির্যাতিত মানুষ বাঙালির বঙ্গবন্ধুকে বরণ করে নিয়েছে নিজেদের নেতা হিসেবে, ক্রমেই বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বিশ্ববন্ধু। ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন : ‘শেখ মুজিব ছিলেন একজন মহান নেতা। তাঁর অনন্য সাধারণ সাহসিকতা এশিয়া ও আফ্রিকার জনগণের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল।’
‘অসাম্প্রদায়িক গনতান্ত্রিক ও শোষন মুক্ত সমাজ ব্যবস্থায় স্বাধীকার অর্জনের পথ ধরে অর্থনৈতিক মুক্তি ও স্বাধীনতা’ – বঙ্গবন্ধুর এই রাজনৈতিক দর্শনের যাত্রা শুরু চল্লিশের দশকের মধ্যলগ্ন থেকেই। উনিশ শ সাতচল্লিশ থেকেই তিনি ‘অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শোষন মুক্ত সমাজ’ এই রাজনৈতিক দর্শনের প্রচার করেছেন এবং রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে আরম্ভ করে ছয়দফার পথ ধরে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীন বাংলায় তাঁর বক্তব্য- বিবৃতি – স্বাক্ষাৎকার রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যক্রম, সর্বত্রই বঙ্গবন্ধুর এই রাজনৈতিক দর্শন এর বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার উপস্থিতি দেখতে পাই। জীবনভর তিনি নির্যাতিত-নিষ্পেষিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, চেয়ে এসেছেন শোষিতের সামাজিক-অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন জনদরদি রাজনৈতিক নেতা। সুদীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বকীয় প্রজ্ঞা আর অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি একটি নিজস্ব রাজনৈতিক দর্শনে উপনীত হয়েছিলেন। সেই রাজনৈতিক দর্শনের ভিত্তি ছিল জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র দুই বিপরীত রাষ্ট্রব্যবস্থাকে বঙ্গবন্ধু মেলাতে চেয়েছেন অভিন্ন মোহনায়। চেয়েছিলেন- গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এক অসাম্প্রদায়িক শোষন মুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা করতে। তিনি বিভিন্ন সময় বলেছিলেন, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের এই মিলনটাই হতে পারে শোষিত মানুষের মুক্তির একমাত্র ভিত্তি। বঙ্গবন্ধু এটি বুঝতে পেরেছিলেন যে, “সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় গেলে অর্থনীতিকে বেশি গুরুত্ব দিহত হবে যার ফল স্বরূপ ক্রমান্বয়ে রাজনীতি গৌণ হয়ে যাবে এবং আমলাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে সবকিছু।’ গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র—এই দুই রাজনৈতিক দর্শনের অন্তর্গত শক্তি ও দুর্বলতা যথার্থই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন তৃতীয় বিশ্বের অসামান্য এক রাজনৈতিক নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দুই ব্যবস্থার দুর্বলতাকে চিহ্নিত করে তা উত্তরনের মাধ্যমে তিনি এক নতুন দর্শন দিয়েছেন বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের জন্য- যার নাম ‘দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচী’। উনিশ‘শ পঁচাত্তরের ২৬ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় লক্ষ মানুষের সামনে তিনি বলেন : ‘সমাজে পরিবর্তন চাই। এই যে কী হয়েছে সমাজের, সমাজ ব্যবস্থায় যেন ঘুণ ধরে গেছে। এই সমাজের প্রতি চরম আঘাত করতে চাই। যে আঘাত করেছিলাম পাকিস্থানীদের, সে আঘাত করতে চাই এই ঘুণে ধরা সমাজব্যবস্থাকে। যে নতুন সিস্টেমে যেতে চাচ্ছি আমি, তাতে গ্রামে গ্রামে বহুমুখী কো-অপারেটিভ করা হবে। পাঁচ বছরের প্ল্যানে বাংলাদেশের ৬৫ হাজার গ্রামে একটি করে কো-অপারেটিভ হবে। জমির মালিকানা মালিকের কাছেই থাকবে। কিন্তু তার ফসলের অংশ সবাই পাবে। প্রত্যেকটি বেকার, প্রত্যেকটি মানুষ, যে মানুষ কাজ করতে পারে, তাকেই এই কো-অপারেটিভের সদস্য হতে হবে। এগুলি বহুমুখী কো-অপারেটিভ হবে। পয়সা যাবে তাদের কাছে, ফার্টিলাইজার যাবে তাদের কাছে, টেস্ট রিলিফ যাবে তাদের কাছে, ওয়ার্কস প্রোগ্রাম যাবে তাদের কাছে। আমি ঘোষণা করছি আজকে যে, পাঁচ বছরের প্ল্যানে প্রত্যেকটি গ্রামে পাঁচ শত থেকে এক হাজার ফ্যামিলি পর্যন্ত নিয়ে কম্পালসারি কো-অপারেটিভ হবে। আপনার জমির ফসল আপনি নেবেন, অংশ যাবে কো-অপারেটিভের হাতে, অংশ যাবে গভর্নমেন্টের হাতে।’
এরও আগে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা তাঁর বক্তব্যেই পাওয়া যায়। উনিশশ বাহাত্তর সালের ৪ সেপ্টেম্বর খসড়া শাসনতন্ত্র অনুমোদন উপলক্ষে গণপরিষদে দেওয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শোষন মুক্ত সমাজ ব্যবস্থার’ ব্যাখ্যা করে বলেন : ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। এই গণতন্ত্র হবে সেই গণতন্ত্র, যা সাধারণ মানুষের কল্যাণ সাধন করে। আমরা দেখেছি যে, গণতন্ত্র যেসব দেশে চলেছে- দেখা যায়, সেসব দেশে গণতন্ত্র পুঁজিবাদের প্রটেকশন দেওয়ার জন্য কাজ করে এবং সেখানে শোষকদের রক্ষা করার জন্যই গণতন্ত্রকে ব্যবহার করা হয়। সে গণতন্ত্রে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা চাই শোষিতের গণতন্ত্র এবং শোষিতের গণতন্ত্রের অর্থ হলো, আমার দেশে যে গণতন্ত্রের বিধিলিপি আছে, তাতে সে-সব বন্দোবস্ত করা হয়েছে, যাতে এদেশের দুঃখী মানুষ রক্ষা পায়, শোষিতরা যাতে রক্ষা পায়। সেজন্য আমাদের গণতন্ত্রের সাথে অন্যের পার্থক্য আছে। যে চক্র দিয়ে মানুষকে শোষণ করা হয়, সেই চক্রকে আমরা জনগণের কল্যাণের জন্য ব্যবহার করতে চাই। শোষিতকে রক্ষা করার জন্য এই গণতন্ত্র ব্যবহার করা হবে। সেজন্য এখানে গণতন্ত্র সম্পর্কে আমাদের সংজ্ঞার সঙ্গে অনেকের সংজ্ঞার পার্থক্য হতে পারে।’ উনিশ শ পঁচাত্তর সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় বঙ্গবন্ধু বলেন : ‘আমরা চাই শোষিতের গণতন্ত্র। আমি বিশ্বাস করি না, ক্ষমতা বন্দুকের নলে। আমি বিশ্বাস করি, ক্ষমতা বাংলার জনগণের কাছে। জনগণ যেদিন বলবে, ‘বঙ্গবন্ধু ক্ষমতা ছেড়ে দাও’ – বঙ্গবন্ধু তারপর একদিনও রাষ্ট্রপতি, একদিনও প্রধানমন্ত্রী থাকবে না। বঙ্গবন্ধু ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে নাই। বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছে দুঃখী মানুষকে ভালোবেসে, বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছে শোষণহীন সমাজ কায়েম করবার জন্য। আমরা চাই শোষিতের গণতন্ত্র, আমরা চাই না শোষকের গণতন্ত্র।’
গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের সম্মিলিত দর্শন দিয়ে বঙ্গবন্ধু বিশ্বের শোষিত মানুষের মুক্তির নতুন পথ নির্মাণ করতে চেয়েছেন। তিনি প্রত্যাশা করেছেন শোষিত-বঞ্চিত-উৎপীড়িত মানুষের মুক্তি, প্রত্যাশা করেছেন সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদ এর শৃঙ্খল থেকে পরাধীন জাতিসমূহের মুক্তি। বঙ্গবন্ধু প্রত্যাশা করেছেন পৃথিবী ব্যাপী ঘুণে ধরা সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন।
জেল জুলুম, অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে – অমানুষিক পরিশ্রম করে কেবল স্বাধীনতা নয়, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি। বিশ্বের শোষিত মানুষের মুক্তিই ছিল তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। সেই মুক্তির সংগ্রামে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে সমর্পন করেছিলেন। নিজের দিকে, পরিবারের দিকে কখনো দৃষ্টি দেওয়ার সুযোগ পাননি বঙ্গবন্ধু। বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদী বিশ্ব ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ‘অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শোষন মুক্ত সমাজ ব্যবস্থার’ এই রাজনৈতিক দর্শন মানবিক এক বিশ্ব ব্যবস্থাপনার পথে নতুন এক সম্ভাবনার দুয়ার যে মুহূর্তে উন্মোচন করতে যাচ্ছে, সে মুহূর্তেই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের নীলনকশায় শহীদ হলেন বঙ্গবন্ধু।
এর কারণ একটাই—বাংলাদেশের স্বাধীনতার উজ্বল সূর্যটিকে পরাধীনতার পঙ্কে নিমজ্জিত করা এবং বিশ্বের শোষিত মানুষের মুক্তির অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর মানবিক দর্শনকে স্তব্ধ করে দেওয়া। তাঁর মৃত্যু কেবল বাংলাদেশের জন্যই নয়, বিশ্বের শোষিত মানুষের মুক্তির সংগ্রামেই এক প্রবল আঘাত। বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদ- বিশ্ব পুঁজিবাদ চায়নি বঙ্গবন্ধুর ‘শোষিতের গণতন্ত্র’ পরিচয়বাহী দ্বিতীয় বিপ্লবের রাজনৈতিক দর্শন পূর্ণতার সুযোগ পাক, পৃথিবীর কোনো দেশে তার বাস্তবায়ন ঘটুক। তারা যথার্থই বুঝেছিল, বঙ্গবন্ধুর এই দর্শনের সফল বাস্তবায়ন তাদের শোষণের মহোৎসবে হয়ে দাঁড়াবে প্রবল বাধা। অতএব গভীর ষড়যন্ত্র, নীলনকশা এবং পরিণতিতে পঁচাত্তরের আগস্ট ট্র্যাজেডি।
লেখক : আইনজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক।