সদর প্রতিনিধি :
ফেনী সদর উপজেলার লস্করহাট-কালিদহ-সিলোনিয়া প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার এই সড়কের বেশিরভাগ অংশই ভেঙে খানাখন্দে ভরা। এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে মোটবী, ছনুয়া, ফাজিলপুর ও কালিদহ ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। কালিদহ ইউনিয়নের কালিদহ ও মাইজবাড়ীয়ার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথও এই সড়ক। লস্করহাট ও তার আশপাশের ছোটখাটো বাজারের মালামাল আনা নেয়ায় ভারী পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলও করে এই সড়ক দিয়ে। এটি ভাঙ্গা হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলে হাজার হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ী। বিশেষ করে এই সড়কের লস্করহাট বাজারের ভিতরের কিছু অংশ ছাড়া প্রায় পুরাটাতেই ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়ীয়ার কিছু অংশসহ প্রায় সড়কের বেশিরভাগ অংশের চিত্রই এমন। গত শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, সড়ক দিয়ে মালামাল আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে আগের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হয় দোকানদারদের। এছাড়া এ অঞ্চলের যাত্রীদের বিশেষ করে রোগীদের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়। রাস্তা ভাঙ্গা হওয়ায় মোটবী, ছনুয়া ও ফাজিলপুর এলাকার মানুষ অন্য সড়ক দিয়ে চলাচল করে।
কালিদহ বাজারের হাজী স্টোরের মালিলক আব্দুল মান্নান জানান, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে অনেক কষ্ট। বিশেষ করে রাতে সাইকেল নিয়ে যাইতে তাঁর সবচেয়ে বেশি কষ্ট। আমার কোমরের ব্যাথা আছে। এই সড়ক ভাঙা হওয়ার ফলে নিয়মিত আসা যাওয়াতে আমার কোমরে ব্যাথা আরো বেড়ে গেছে। শুনছি, টেন্ডার হইছে। এ পর্যন্ত কয়েকবার হইছে শুনছি। কিন্তু এখনো কিছু দেখতেছি না।
বাদল দেবনাথ নামে আরেক দোকনদার জানান, এই সড়ক দিয়ে গাড়ীও তো চলাচল করে না। আসতে ২০ টাকার ভাড়া ৫০-৬০ টাকা নিয়া যায়। মালামাল আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা ভাড়া ৫০০ টাকা দিতে হয়।
মোটবী এলাকার বাসিন্দা সিএনজি চালক সাইফুল ইসলাম জানান, রাস্তা ভাঙ্গা হওয়ায় যাত্রীদের চলাচল কমে গিয়েছে এ সড়ক দিয়ে। ফলে যাত্রী পাওয়া যায় না। গাড়ীও বার বার নষ্ট হয়ে যায়।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী দীপ্ত দাশ গুপ্ত ফেনীর সময় কে বলেন, সড়কটির সংস্কারকাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শুরু হবে।