দাগনভূঞা প্রতিনিধি :
দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের নুরুল্লাহপুর ও ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের রতনপুর এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের নৃশংসতার বলি হয়ে সজিব হত্যা মামলায় আজাদ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার এসআই রতন কান্তি দে এজাহারভুক্ত আসামী আজাদকে রবিবার আদালতে তোলা হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সিরাজ উদ্দিন ১৬৪ ধারায় আজাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। সজিবকে হত্যার ঘটনায় জড়িত অপরাপরদের নাম প্রকাশ করে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন। এর আগে আলোচিত এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া রিফাত ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তার জবানবন্দিতে পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের তালতলা এলাকার ফরিদ আহমদের ছেলে আজাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর তাকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। রিফাতের দেয়া তথ্যানুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চোরা বিরলী গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার খায়েজ আহম্মদের বাড়ির পাশের কালভার্টের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত; দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের নুরুল্লাহপুর ও পাশ্ববর্তী ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের রতনপুর এলাকায় দুটি দল নিয়ে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। ঈদুল আযহার আগের দিন রতনপুর এলাকায় ইলেক্ট্রিকের কাজ করতে গেলে পূর্ব বিরোধের জেরে সজিব ও তৌহিদের উপর হামলা চালাায় ইউসুফের ছেলে রিফাত (১৮), রফিকের ছেলে শামীম (১৮) ও মোস্তফার ছেলে আফসার (১৯) সহ কয়েকজন যুবক। একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ১৫ দিন চিকৎসাধীন থাকার পর ২৪ জুলাই রবিবার মারা যান। এ ঘটনায় ঈদের দিন রাতে সজিবের বাবা সোলেমান বাদি হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।