নোয়াখালী প্রতিনিধি :
চরম ক্ষুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চরফকিরা ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডে মুক্তিযোদ্ধা মেলার নামে অশ্লীল নৃত্য, জুয়ার আসর ও জমজমাট মাদক ব্যবসা চলার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। ১৬নং স্লুইচে ৭১এ শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের পাশে এ মেলায় অশ্লিল কর্মকান্ড নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধা মেলার নামে এ ধরনের অপকর্ম চলছে। গত ২৪ফেব্রুয়ারী রাত থেকে মেলার নামে অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে কেউ কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষুব্দ এলাকাবাসী। ১৫-২০টি জুয়ার বোর্ডে প্রতিদিন সর্বস্ব হারাচ্ছে, কিশোর, স্কুল-কলেজ ছাত্র ও শ্রমজীবি মানুষ।
মেলার আয়োজক সমীর মেম্বার জুয়ার বোর্ডগুলো থেকে প্রতিদিন আদায়কৃত টাকা মেলা কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী সোহাগ মেম্বারের কাছে জমা রাখেন। তিনিই আদায়কৃত টাকা বিভিন্নজনকে প্রদান করেন। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ প্রহরায় এ মেলায় অশ্লীল নৃত্য, জুয়া এবং মাদকের আসর চলছে বলে সর্বমহল থেকে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের বিষযে জানতে চাইলে, মেলা কমিটির সভাপতি সোহাগ মেম্বার (সাবেক) এবং আয়োজক সমীর মেম্বার (বর্তমান) বলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে এবং রাজনৈতিক নেতাদের অনুমতিক্রমে এ মেলা চলছে। তবে এ মেলায় অশ্লীল নৃত্য, জুয়ার আসর এবং মাদক ব্যবসার কথা সত্য নয়।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ বিষয়ে এখানকার মুক্তিযোদ্ধারা কিছুই জানে না। মুক্তিযোদ্ধা মেলার নামে মদ, জুয়া অশ্লীল নৃত্য চলা মানে হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা। তিনি নোয়াখালী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবৈধ এ মেলাটি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।