কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে অভিযান চালিয়ে তাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তি মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে একটি শিয়াল জবাই করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এ অভিযান পরিচালনা করেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন। দণ্ডপ্রাপ্ত তাজুল ইসলাম নোয়াখালী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের আবু তাহেরের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, তাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি শিয়াল ধরে এনে জেলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে জবাই করছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন তথ্য পেয়ে ওইস্থানে অভিযান চালায় বন বিভাগ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্যের সত্যতা পেয়ে শিয়াল জবাইরত অবস্থায় তাজুলকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাজুলকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ৫হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
অভিযানে সহযোগিতা করেন, জেলা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল, উপকূলীয় বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা এএসএম মহি উদ্দিন চৌধুরী ও সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত তাজুল অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ করে আগামিতে এমন কাজ করবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একইসাথে জবাইকৃত শিয়ালটি জব্দ করে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। বন্যপ্রাণী ধরা, মারা, বিক্রি, খাওয়া, আইনত দ-নীয় অপরাধ, যারা এ অপরাধের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যহত থাকবে।