নিজস্ব প্রতিনিধি :
পরশুরাম উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার এবং সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেলের অভ্যন্তরীন দ্বন্ধ সংঘাতে রূপ নেয়ার ঘটনায় দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে উপজেলা কার্যনির্বাহী কমিটির দলীয় কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে জেলা আওয়ামীলীগ।
দলীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাষ্টার আলী হায়দারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পরশুরামে যান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দপ্তর সম্পাদক এ,কে শহীদ উল্যাহ খোন্দকার, সদস্য দিদারুল কবির রতন, ফেনী পৌর সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। তারা দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ের নেতাদের সাথে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে প্রতিনিধি দলের সাথে কামাল মজুমদার ও সাজেল চৌধুরী ছাড়াও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ সফিকুল হোসেন মহিম, পৌর সভাপতি শহীদ উল্যাহ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক রাসুল আহম্মদ মজুমদার স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে জেলা নেতৃবৃন্দ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরি কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। এরপর কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।
জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এ,কে শহীদ উল্যাহ খোন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “স্থগিত কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ পরস্পর বিরোধী কোন নেতাকর্মী কেউই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কোন বক্তব্য প্রদান করতে পারবেন না। অন্যথায় দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যক্রমের অপরাধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
প্রসঙ্গত; কামাল মজুমদার ও সাজেল চৌধুরী দ্বন্ধের জেরে পাল্টাপাল্টি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। এর জেরে কামাল মজুমদারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি অনাদিরঞ্জন সাহার উপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় সাজেল চৌধুরী সহ তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দেন অনাদিরঞ্জন সাহা। হামলা-মারধরের অভিযোগ এনে কামাল মজুমদারের জামাতা ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ইয়াছিন শরীফ মজুমদার সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দেন সাজেল চৌধুরী।