নিজস্ব প্রতিনিধি :
সকাল ৯টা। সাড়ে ৮টা থেকে শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর সময় নির্ধারণ থাকলেও তখনো বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে শিক্ষকরা কুশল বিনিময় আর খোশগল্পে ব্যস্ত। ২৪ দিন বন্ধ থাকার পর স্কুলের কার্যক্রম পরিদর্শনে বের হয়ে শ্রেণিকক্ষেই হাজির স্বয়ং জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। রবিবার ফেনী শহরতলীর পাঁচগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার এ আকস্মিক সফরে খুশি শিক্ষক-অভিভাবকরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তাপদাহের কারণে শ্রেণিকার্যক্রম বন্ধ থাকার সময়ে পাঁচগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ সংযোগ অকেজো হয়ে পড়ে। বিষয়টি জেনে স্কুলে ছুটে যান জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। প্রচন্ডে গরমে কোন শিক্ষার্থী যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে সেজন্য তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেন তিনি। স্কুল থেকে ফেরার কিছুক্ষন পরই বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। এসময় প্রধান শিক্ষক শামীমা আক্তার ছাড়াও তৎসংলগ্ন পাঁচগাছিয়া আক্রামুজ্জামান খান স্মৃতি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফকির আহম্মদ ফয়েজ, সহকারি প্রধান ইসমত আরা বেগম, গভর্নিং বডির সদস্য আবু আইয়ুব আনসারী শামীম, স্থানীয় ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক পাঁচগাছিয়া আক্রামুজ্জামান খান স্মৃতি স্কুল এন্ড কলেজের কম্পিউটার ল্যাব পরিদর্শন ও শিক্ষকদের দ্রুতসময়ের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতাভুক্ত হওয়ার নির্দেশনা দেন।
জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার ফেনীর সময় কে বলেন, “তাপদাহের কারনে বেশ কয়েকদিন স্কুলগুলো বন্ধ ছিল। স্কুল খোলার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা সেটি দেখার জন্য কাউকে না জানিয়ে হঠাৎ করে ঝটিকা সফরে বের হই। শ্রেণিকক্ষে গিয়ে দেখি ফ্যান চলছে না। শিক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে ক্লাস করতে সেজন্য বিষয়টি তাৎক্ষনিক সমাধান করা হয়েছে। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুত অথবা অন্য কোন সমস্যা থাকে দ্রুত সমাধানের জন্য নির্দেশনা রয়েছে।
পাঁচগাছিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি গোলাম মোস্তফা বিটু ফেনীর সময় কে জানান, “বিদ্যুৎ সংযোগ অকেজো থাকার বিষয়টি প্রধান শিক্ষক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেননি। গতকাল জেলা প্রশাসক আকস্মিক সফরে যাওয়ায় বিষয়টি সমাধান হয়েছে বলে শুনেছি।”