দৈনিক ফেনীর সময়

ফেনীতেও প্রস্তত ৮৮ বীর নিবাস

ফেনীতেও প্রস্তত ৮৮ বীর নিবাস

আরিফ আজম :

ফেনী জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তরের অপেক্ষায় অসচ্ছল ৮৮ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য আবাসন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বীর নিবাস। জেলা সদরে ৪৫টি মোট ২০৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা পাবেন এই প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দৃষ্টিনন্দন বীর নিবাস।

গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমধাপে উদ্বোধনের পর এই অপেক্ষাটা বেড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সদর উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে কনফারেন্সে অংশ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল মোতালেব, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক শহীদ উল্যাহ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আফতাবুল ইসলাম প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গ। উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা এসব ঘর জেলা ও উপজেলা প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে চাবি বুঝিয়ে দিবেন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আবাসন নির্মাণ কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তের আলোকে উপজেলায় অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের তালিকা চূড়ান্ত করে দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার কর্তৃক বাসগৃহ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে সদরে ৮০টি, দাগনভূঞায় ৪৩টি, সোনাগাজীতে ৭৮টি, ছাগলনাইয়ায় ৫৬টি, ফুলগাজীতে ২০টি ও পরশুরাম উপজেলায় ১৯টি নির্মাণের উদ্যোগ রয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৩৫টি, দাগনভূঞায় ১২টি, সোনাগাজীতে ৯টি, ছাগলনাইয়ায় ১০টি, ফুলগাজীতে ১০টি, পরশুরামে ১২টি ঘর প্রস্তুত রয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ড্রইং অনুসারে প্রতি বাসগৃহে ৬৩৫ স্কয়ার ফিট জমির উপর তিনটি বেডরুম, ড্রইংরুম, রান্নাঘর ও দুটি বাথ-টয়লেট আছে। প্রতিটি ঘরে দুটি করে মোট আটটি থাইগøাসের জানালা ও একটি করে কাঠের দরজা রয়েছে। সেই সঙ্গে সাবমার্সিবল পাম্প দ্বারা সাপ্লাই পানির ব্যবস্থাসহ শিডিউল অনুযায়ী প্রতি নিবাসে ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩শ ৮২ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল মোতালেব বলেন, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে থাকার জন্য পাকাঘর দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। এর মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধারা মূল্যায়িত হচ্ছেন।

ঠিকাদার শাহআলম কিরণ জানান, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় এসব ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে লোকসানের শিকার হচ্ছেন। ইতিমধ্যে দরপত্র অনুযায়ী ১০টি ঘরের কাজ তিনি শেষ করেছেন।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী ফেনীর সময় কে বলেন, সদর উপজেলায় ৩৫টি বীর নিবাসের কাজ শেষ হয়েছে। এবং বাকী ঘরের কাজ দ্রæত শেষ করার জন্য ঠিকাদারদেরদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান ফেনীর সময় কে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যেন সম্মানের সঙ্গে মানসম্পন্ন বাড়িতে বসবাস করতে পারেন সে লক্ষে সরকারী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে সময় নির্ধারণ করে এসব ঘর বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!