দৈনিক ফেনীর সময়

ফেনীতে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং- ভোগান্তি

ফেনীতে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং- ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ফেনীতে গত ক’দিন ধরে বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেনা গ্রাহকরা। দিবারাত্রি বেশ কয়েকবার বিদ্যুত আসা-যাওয়ায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, হঠাৎ করে ঘন ঘন লোডশেডিং শুরু হয়েছে। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এর মাত্রা আরো বেশি। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। শ্রমজীবীদের অবস্থা আরো নাজুক।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ভাষ্যমতে,স্থানীয়ভাবে লংকা পাওয়ার ১১৪ ও ডরিন পাওয়ার ৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেও জাতীয় গ্রীডে যুক্ত করা হয়। ফেনী জেলায় আবাসিক, বাণিজ্যিক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৭১ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। তাদের জন্য প্রতিদিন সর্বো”চ বিদ্যুতের চাহিদা ৪৫ মেগাওয়াট। জাতীয় গ্রীড থেকেই এ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় হঠাৎ করে সরবরাহ কমে যাওয়া দিনে-রাতে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করা হয়।

পিডিবি ফেনী কার্যালয়ের সহকারি প্রকৌশলী মাহফুজুল হক বলেন, বিদ্যুত বিভ্রাট এখন জাতীয় সমস্যা। জাতীয় গ্রীডের নির্দেশনা অনুযায়ী লোডশেডিং হচ্ছে বলে তার দাবী।

ফেনী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে ঈদের বাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সবার ভোগান্তির কথা চিন্তা করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি জানান তিনি।

পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খালেদ খান জানান, এই ওয়ার্ডে প্রতিদিন অন্তত ৪-৫ বার বিদ্যুত যায়। এতে বাসা-বাড়ির বাসিন্দারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

ফেনী পল্লী বিদ্যুত সমিতির এজিএম (অপারেশন) আকাশ কুসুম বড়ুয়া জানান, ফেনী জেলায় ৪ লাখ ১৫ হাজার গ্রাহকের জন্য ৭০ থেকে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। অথচ চাহিদার তিনভাগের একভাগ বিদ্যুত মিলছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে কখনো কখনো গভীর রাতেও লোডশেডিং করতে হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!