নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান বলেছেন, সাইবার বুলিং প্রতিরোধে জনসচেনতা সৃষ্টি করা অত্যন্ত জরুরী। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে অত্যাধিক গুরুত্ব দেয়া হবে। এজন্য স্কুল-কলেজ, মাদরাসায় সমাবেশ করা হবে। প্রতি দুই মাসে একবার শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আলোচনা সভা, সভা-সেমিনার করা হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদসমূহে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। এ বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
বুধবার সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ কমিটির প্রথম সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত “ভিশন-২০২১ এর সঠিক বাস্তবায়ন ও ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কিশোর-কিশোরীদেরকে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ, সাইবার সুরক্ষা, সাইবারের সঠিক ব্যবহার ও সাইবারের ভয়ানক দিক সম্পর্কে সকলকে সচেতন করার প্রতি জোর দেয়া হয়।
সভায় সিভিল সার্জন ডা: মো: শিহাব উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাহমিদা হক, ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইন, ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুন নাহার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী, পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহাম্মদ, ফেনীস্থ র্যাবের স্কোয়াড্রন লীডার সাদেক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার রাশেদুল আলম প্রমুখ অংশ নেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে অনেক ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। বিশেষ করে কিশোর বা উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। সেখান থেকে বের করে এনে তারা যাতে সুস্থ জীবনে ফিরে আসে তার ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান। সাধারণভাবে গুজব রটানো বা এ ধরনের কাজ যাতে করতে না পারে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে জোর দেন।
সভায় সাইবার অপরাধ এবং কিশোর-কিশোরীদের ওপর এর প্রভাব যথা সাইবার বুলিং, অনলাইন যৌন হয়রানি, সাইবার হ্যারাসমেন্ট ইত্যাদির ফলে সৃষ্ট প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় আত্মহত্যা প্রবণতা, মাদকাসক্ত হয়ে পড়া, মানসিক যন্ত্রণা, সমাজিক ভাবমূর্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব, বিশ্বাসে অসুবিধা ও একাডেমিক পারফমেন্সে অসুবিধা ইত্যাদি প্রবণতা নিয়ে আলোচনা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ কমিটির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিটি জেলায় কিশোর-কিশোরীদের সাইবার বুলিং ও সাইবার হয়রানি সম্পর্কে সচেতন করার মাধ্যমে দেশকে সম্পূর্ণভাবে অনলাইন যৌন হয়রানি মুক্ত করা। এছাড়া দেশের প্রতিটি কিশোর-কিশোরীদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করা; সাইবার অপরাধ, সাইবার বুলিং ও বøাকমেইল শিকার কিশোর-কিশোরীরা যেন যথাসময় যথোপযুক্ত সহায়তা পায় তা নিশ্চিত করা এবং সাইবার অপরাধ ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধে করণীয় বিষয় ‘সচেতন নাগরিক’ গড়ে তোলা।