নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনীর বাসিন্দা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি ও সাজা বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার ফেনী জেলা বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঢিলেঢালাভাবে চলছে। হরতালের আগের রাতে শহরের সালাউদ্দিন মোড় এলাকায় একটি গ্রীন টাউন সার্ভিস বাসে আগুন দিয়ে উত্তাপ ছড়ানো হলেও মঙ্গলবার দিনভর কাউকে মাঠে দেখা যায়নি।
শহরের ব্যস্ততম ট্রাংক রোড ও শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক সহ জেলার অভ্যন্তরীন সড়ক-মহাসড়কে যাত্রীবাহী গাড়ী চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বিএনপি অধ্যুষিত হিসেবে পরিচিত ইসলামপুর রোড ও তাকিয়া রোডে দোকানপাট খোলা হয়। অফিস-আদালত ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরগুলোর কার্যক্রমও চলে স্বাভাবিকভাবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী গাড়ী কম থাকলেও পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল করছে। হরতাল ও অবরোধকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোর পাশাপাশি সড়ক ও মহাসড়কে পুলিশের টহল ছিল চোখে পড়ার মতো। হরতালের সমর্থনে জেলার কোথাও কোনো মিছিল কিংবা পিকেটিং চোখে পড়েনি।
পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, জনগনের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ সতর্ক পাহারায় রয়েছে। কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন যাতে না ঘটে সেদিকে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। সকাল থেকে হরতাল-অবরোধকে ঘিরে কোনো ধরনের পিকেটিং হয়নি।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন হরতাল সফলভাবে পালন হয়েছে দাবী করে বলেন, অবরোধের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাকে মিথ্যা মামলার রায়ের প্রতিবাদে হরতাল পালন করা হয়। ফেনী শহরে সর্বস্তরের জনগন হরতালকে সমর্থন করেছে।
তিনি বলেন, হরতালের সমর্থনে আগের রাতে মশাল মিছিল ও মিছিল হয়েছে। সকাল থেকে ফেনী শহর অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ। জেলার সর্বত্র একই চিত্র। যেনতেন একটি নির্বাচন করতে চায় সরকার। পুলিশ বেপরোয়া বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। পুলিশ-র্যাব ও সিভিল প্রশাসন মানুষকে নাগরিক পর্যায়ে রাখেনি। কেউ ভোট দিতে পারবেনা, প্রার্থী হতে পারবেনা।