নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ১৩ জন আইনজীবী। মামলায় সমিতির কার্যনির্বাহী নির্বাহী পরিষদ ও বার কাউন্সিল সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। গতকাল বুধবার যুগ্ম-জেলা জজ প্রথম আদালতে তারা মামলাটি দায়ের করেন। বাদিগণ হলেন- মো: গোলাম সরওয়ার, মোহাম্মদ হানিফ মজুমদার, মিজানুর রহমান সেলিম, রায়হান উদ্দিন মামুন, এসএম আবুল মনসুর রানা, মো: আবদুল আহাদ ভূঞা, রবিউল হক ফরহাদ, আবদুল মালেক, সাইদুর রহমান রাব্বী, একরামুল হক ভূঁইয়া, সাইফুল্লাহ রাশেদ, শাহজালাল ভূঞা সবুজ ও আনোয়ারুল আজিম।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, তারা বার কাউন্সিলের অনুমোদনক্রমে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন। বিভিন্ন সময়ে ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটিতেও দায়িত্ব পালন করেন। গত বছরের ১২ জুলাই সমিতির সাধারণ সভায় আগামী নির্বাচনে ভোটার না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যা গঠনতন্ত্র বহির্ভূত। গত ২০ ডিসেম্বর নির্বাচন সংক্রান্ত তপছিল প্রকাশ করা হয়। জেলা আইনজীবী সমিতি, ফেনী এর গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ০৭ এর উপ-অনুচ্ছেদ (গ) এর বিধানমতে, “কাহারা ভোটার হইবেন: যে সকল বিজ্ঞ সদস্য অত্র সমিতির মাধ্যমে সনদ নবায়ন করেন, বার কাউন্সিলে যাবতীয় পাওনা অত্র সমিতির মাধ্যমে পরিশোধ করেন এবং অত্র সমিতির যাবতীয় পাওনা যথারীতি পরিশোধ করেন এবং জেলার দেওয়ানী এবং ফৌজদারী আদালত সমূহে আইন পেশায় নিয়োজিত রহিয়াছেন তাহারা ভোটার হিসাবে গন্য হইবেন। মাদার বার ফেনী হইলেও যাহারা অন্য বার যোগদান না করিয়া আইন পেশায় নিয়োজিত রহিয়াছেন তাহারা ভোটার হইবেন না। যে সকল সদস্য অন্য কোন আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে বার কাউন্সিলের পাওনা পরিশোধ করেন অর্থাৎ তাহাদের মাদার বার অন্য সমিতিতে কিন্তু জেলা আইনজীবী সমিতি, ফেনীতে নিয়মিত পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন তাহারা জেলা আইনজীবী সমিতি ফেনীর ভোটার হওয়ার যোগ্য হইবেন”।
আরো উল্লেখ করা হয়, “ভোটাধিকার বহাল রাখতে ২৭ নভেম্বর কার্যনির্বাহী কমিটির বরাবরে আবেদন করা হলে তা অগ্রাহ্য করে ২৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ২০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন ধার্য্য করেন।”
এ প্রসঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল বশর চৌধুরী ফেনীর সময় কে বলেন, বিষয়টি গতকাল সন্ধ্যায় জানামাত্র বৃহস্পতিবার সকালে সমিতির জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে। এরপর তাদের অভিযোগ জেনে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।