ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি :
মাদক ব্যবসা, মারামারি, চাঁদাবাজি, চোরাকারবারী ও ডাকাতির ডজনখানেক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বারইয়ারহাটে আলোচিত র্যাবের উপর হামলার মামলা ও জোরারগঞ্জ থানার এজাহারনামীয় আসামী হিসেবে গ্রেফতার হয় কিছুদিন আগে। কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে এলাকায় মহড়া দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফেনী নদীর এপার-ওপারে পুনরায় রাজত্ব করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জোবায়েদ পারভেজ (৩০) ও তার সিন্ডিকেটের লোকজন। সে ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের নিজকুঞ্জরা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পারভেজের মাদক ব্যবসার তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেওয়ায় গত ২৬ মে সাংবাদিক শফিকুর রহমানের উপর উপর্যপুরি হামলা চালায় পারভেজ ও তার সহযোগিরা। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে ছাগলানইয়া থানায় মামলা (নং- ২০) দায়ের করেন।
শফিকুর রহমান জানান, তার পায়ের দুবার অপারেশন করা হয়েছে। এখনো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে অনেক কষ্টে কোনমতে চলাফেরা করতে হয়। বেশিরভাগ সময় বিচানায় শুয়ে থাকতে হয়।
স্থানীয়রা আরো জানান, গত ১৫ জুলাই পারভেজকে মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই মামলায় ২৪ দিন কারাভোগ শেষে গত ৮ আগস্ট জামিনে বেরিয়ে আসে। এর দুইদিন পর বোনের বিয়েতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আক্তার হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক হানিফ বাবুল সহ জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগ নেতাদের অনেকে অংশ নেন। অবস্থান জানান দিতে নিজকে যুবলীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে তাদের নিয়ে তোলা বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। তার সহযোগিরা এসব ছবি প্রচার করে এলাকার জনমনে ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
ঘোপাল ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী জানান, জোবায়েদ পারভেজ যুবলীগের কোন পর্যায়ের কমিটিতে নেই। মাদক ব্যবসা কিংবা অপরাধ করে যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে পার পাবার সুযোগ নেই।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি নূর হোসেন মামুন বলেন, পারভেজের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানা, ফেনী সদর থানা ও ছাগলনাইয়া থানায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। বর্তমানে ছাগলনাইয়া থানার সব মামলায় জামিনে আছে।