সানা উল্যাহ :
“এই পোস্ট আমার বন্ধু বান্ধব, আত্মীয়স্বজন এবং ফেনী জেলার সর্বস্তরের মানুষের জন্যে। সিডনিতে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সন্ধানে সাহায্য করুন। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ আহসান উল্যাহ বয়স ৬২ বছর, দুই মাস আগে নিজ বাসস্থানে মারা গেছেন এবং এখন পর্যন্ত তার কোন আত্মীয় স্বজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার বাড়ী দাগনভূঞা উপজেলার সিলোনিয়া বাজারে অবস্থিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ১৫ জানুয়ারি প্রবাসী বাংলাদেশি মো: ওহিদুল ইসলাম সোহেল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে গেলে কোনো খোঁজ না পেয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এরপর পুলিশ সেই বাড়ি থেকে আহসান উল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে। গত ২৪ ফেব্রæয়ারী বাদ জুমা সিডনির লাকেম্বা মসজিদে আহসান উল্লাহর জানাজা শেষে সিডনির কেম্পস ক্রিক কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
মরহুম আহসান উল্যাহর বন্ধু মোহাম্মদ ওহিদুল ইসলাম সোহেল এবং আবুল সরকারের অনুরোধে বাংলাদেশি নন প্রফিট অর্গানাইজেশন অগডঈ (অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টার) ফান্ড সংগ্রহের মাধ্যমে বেওয়ারিশ লাশের জানাযা এবং দাফন সম্পন্ন করে।
ধারণা করা হচ্ছে, মোহাম্মদ আহসান উল্যাহ ১৯৯১ সালে কুয়েত থেকে অস্ট্রেলিয়া আসেন এবং সিডনীতে একাই থাকতেন। বাংলাদেশে কারো সাথে যোগাযোগ ছিল না বলে ধারণা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়াতে তার প্রতিবেশীরা জানায়, তাঁকে অনেকদিন দেখেনি এবং তার বাসার ভেতর থেকে দুর্গন্ধ আসছিল। অনেকদিন আগেই তিনি মারা গিয়েছিলেন যেটা কেউ জানতো না। বাংলাদেশী কমিউনিটির কারো সাথে যোগাযোগ/পরিচয় না থাকার কারণে তার কোন ছবি/আত্মীয়স্বজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের সন্ধানে সিডনিতে বাংলাদেশী কমিউনিটির সর্বাত্মক চেস্টা চলছে।
দাগনভূঞাতে কেউ যদি তার/পরিবারের সন্ধান পেয়ে থাকেন থাকেন তাহলে অনুগ্রহপূর্বক আমার সাথে মেসেঞ্জারের এর মাধ্যমে যোগাযোগ করুন।
মরহুম আহসান উল্যাহর একমাত্র বন্ধু মোহাম্মদ ওহিদুল ইসলাম সোহেলের অনুরোধে আমি আমার ফেসবুকের সকল বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের কাছে এই পোস্টটি বেশী বেশী শেয়ার করে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সন্ধান পেতে সাহায্য চাচ্ছি।