দাগনভূঞা প্রতিনিধি :
দীর্ঘ দুর্ভোগের পর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা থেকে ফাজিলেরঘাট পর্যন্ত পাকা সড়কের সংস্কারকাজ শেষ হয়। ক’দিন যেতে না যেতে রাস্তার কার্পেটিংয়ের পাথর উঠে যাচ্ছে। সংস্কারকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় রাস্তাটির এমন বেহাল দশা বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জিওপি মেনটেইনেন্স প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি ফেনী কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ফেনী দাগনভূঞার মাতুভূঞা স্টেশন-ফাজিলেরঘাট ৩ কিলোমিটার সড়কের কাজ পান দাগনভূঞার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কালাম এন্টারপ্রাইজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যবহারকারী দাগনভূঞার ঠিকাদার কালাম ওই রাস্তার সংস্কারের কাজ শুরু করেন। এ রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের ইট, ইটের খোয়া ব্যবহার করে বালু দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সড়কের পাশে থাকা গাইডওয়ালগুলোও একেবারে নিম্নমানের ইট দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছরের ভোগান্তি পরে উপজেলার মাতুভূঞা স্টেশন থেকে ফাজিলেরঘাট পর্যন্ত ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য প্রাক্কলিত ব্যায় ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। এ রাস্তার কাজ সংস্কারে নিম্নমানের ইট, খোয়া এমনকি পুরোনো রাস্তায় পিচ কার্পেটিংয়ের অংশ পরিশোধন না করেই মিশিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছেন। এ কাজ শেষের ১ মাসও টিকবে না বলে মনে করেছেন স্থানীয়রা।
বুধবার সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কে নিম্নমানের ইটের খোয়া ও সড়কের পাশের গাইড ওয়াল নিম্নমানের ইট দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। মানহীন ইট দিয়ে রাস্তা তৈরি করে বেশিরভাগ অংশে বৃষ্টির মধ্যেও পিচ ঢালাই দেয়া হয়েছে। ঢালাইয়ে বিটুমিন কম দেয়ায় ইতিমধ্যে অনেক স্থানে পাথর উঠে গেছে। সামান্য গাছের ঢাল দিয়ে ধরলেই উঠে যাচ্ছে পিচ।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবুল কালাম বলেন, ওই সড়ক সংস্কারে কোনো নিম্নমানের ইট-বালু ব্যবহার করা হচ্ছে না। সকল কাজ এলজিইডির ইঞ্জিনিয়াররা তদারকি করছেন। আমরা মালামাল সরবরাহ করি। বাকি কাজ ইঞ্জিনিয়ারদের তত্ত্বাবধানে হয়।
এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী মো: মাছুম বিল্লাহ বলেন, সড়ক সংস্কারে কয়েক জায়গায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়েছে বলে শুনেছি। ঠিকাদারকে ভালোমানের মালামাল ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কাজ সঠিকভাবে শেষ না হলে ঠিকাদার বিল পাবেন না।