শহর প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের ৬৪ জেলা শহরে শব্দের তাপমাত্রা পরিমাপ জরিপের টীম লিডার ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেছেন, শব্দদূষণ একটি ‘সরব ঘাতক’। বলা হয় এটি ‘নিরব ঘাতক’। প্রকৃতপক্ষে এটি প্রকাশ্যেই মানুষকে ক্ষতি করছে। মানুষের শারীরিক নানা সমস্যার কারণ এ শব্দদূষণ। এ দূষণের কারণে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটে।
সোমবার ফেনী সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে পরিবেশ অধিদপ্তরের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রনে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের বাস্তবায়নে ইকিউএমএস কনসাল্টিং লিমিটেড এবং বায়ুমন্ডলীয় অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর সহযোগিতায় আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান। সভপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ফেনী কার্যালয়ের উপ—পরিচালক মো: সাইদুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, একটু সচেতনতাই পারে শব্দদূষণ কমাতে। অন্যান্য দূষণের চেয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ অনেকটা সহজ। সচেতন হলে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তিনি বলেন, সরকারের এ ধরনের কর্মসূচী জনগনের মধ্যে সচেতনতা তৈরী করতে সহায়ক হবে।
সভায় অংশগ্রহনকারীরা রাতের বেলায় আতশবাজী, সবধরনের গাড়ীর হর্ণ, ওয়াজ মাহফিল ও সভা—সমাবেশের নামে অতিরিক্ত মাইকের ব্যবহার, বিনাপ্রয়োজনে এ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন বাজানো সহ বিভিন্নভাবে শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিকসমূহ তুলে ধরেন।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ফেনী মহিপাল সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবুল বশর ভূঞাঁ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই এডমিন) আনওয়ারুল আজিম, সাংবাদিক আবু তাহের, বখতেয়ার ইসলাম মুন্না, সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম নবী, পরিবহন নেতা আজম চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী নাজমুল হক শামীম, পরিবেশ সাংবাদিক কেফায়েত শাকিল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক মঞ্জিলা মিমি প্রমুখ।