জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। পাশাপাশি হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সম্রাটের করা আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য আগামী ৩০ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে।
আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি এম ইনায়তেুর রহিম সোমবার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
গত ১৮ মে বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে সম্রাটের জামিন বাতিল করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাকে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সম্রাট আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চেম্বার আদালত সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেননি। ফলে জামিন বাতিলের আদেশ বহাল থাকছে।
সম্রাটের পক্ষে আদালতে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ।
গত ১১ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা এই মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত সম্রাটকে শর্তসাপেক্ষে ৯ জুন পর্যন্ত জামিন দেন। পরে গত সোমবার ওই জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। দুদকের করা এই মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন পাওয়ার আগে সম্রাট তার বিরুদ্ধে থাকা আরও তিনটি মামলায় জামিন পান। চার মামলার সব কটিতেই জামিন পাওয়ায় ১১ মে বিএসএসএমইউর (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতাল) প্রিজন সেল থেকে কারামুক্তি পান সম্রাট। তবে তিনি এখনো ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এই মামলায় আগামী ৯ জুন অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে।