নিজস্ব প্রতিনিধি :
সোনাগাজীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও ঘরের টিনের চালা খুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের আবদুল আজিজ কেরানি বাড়িতে সিনেমা স্টাইলে এ ঘটনা ঘটে। এসময় সন্ত্রাসীরা ওই বাড়ির গৃহবধূ শরীফা বেগমকে মারধর করে ঘর থেকে পাঁচভরি স্বর্ণালংকার ও নগদে দেড় লাখ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
পুলিশ, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকার আবদুল আজিজ কেরানি বাড়ির জহির আব্বাসদের সঙ্গে একই বাড়ির ইমরুল কায়েসদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশি বৈঠকও হয়েছিল। কিন্তু ইমরুল কায়েস শালিশী বৈঠকে পঞ্চায়েতদের কথা শুনেননি। বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে ৩০-৩৫জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ওই বাড়িতে গিয়ে জহির আব্বাসদের ঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও টিনের চালা খুলে নেয়। এসময় জহির আব্বাসের ছোট ভাই মোসাদ্দেক আব্বাসের স্ত্রী শরীফা বেগম বাধা দিলে তাকে মারধর ও কাপড়-চোপড় ছিড়ে টেনে হেঁচড়ে শ্লীলতাহানির করে। ঘরটিতে জহির আব্বাসরা পাঁচভাই বসবাস করে আসছেন।
জহির আব্বাস অভিযোগ করেন, তাঁদের ঘরে হামলা ও লুটপাট চালিয়ে সন্ত্রাসীরা তার আলমারিতে থাকা পাঁচভরি স্বর্ণালংার, নগদ দেড় টাকা লুটে নেয়। এছাড়াও ভাঙচুর করে প্রায় দশলক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এসময় জরুরী সেবা ‘৯৯৯’ এ ফোন পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পুলিশেরর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা ঘরের লুটকরা মালামাল ও জিনিসপত্র নিয়ে দ্রæত পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মোসাদ্দেক হোসেনের স্ত্রী শরীফা বেগম বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় ইমরুল কায়েসসহ ৩৫-৪০ জনেকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
হামলায় নেতৃত্বদানকারী ইমরুল কায়েস বলেন, ওই ঘরের ভিটির জমিতে তাদের মালিকানা রয়েছে। জহির আব্বাস ও তার ভাইয়েরা দীর্ঘদিন জমির দখল করে রেখেছন। বাধ্য হয়ে তিনি হামলা করে ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে ঘরের চালা খুলে ফেলে দিয়েছেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো: খালেদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।