নিজস্ব প্রতিনিধি :
সোনাগাজী পৌর শহরে চেতনানাশক খাইয়ে টাকা ছিনতাইয়ের শিকার ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি আলোচিত এ ঘটনার ৫ দিনেও থানায় কোন মামলা হয়নি। এনিয়ে ব্যবসায়ী সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সোনাগাজী ব্যাংকার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও এনসিসি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো: হারুনুর রশিদ ফেনীর সময় কে জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো: মাশকুর রহমান সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ব্যাংকার্স ফোরামের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ব্যাংকে নিরাপদে লেনদেনের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি স্থাপনে অনুরোধ করা হয়। এর আগে রবিবার ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে ব্যবসায়ী মারা যাওয়ার ঘটনা নিয়ে ফোরামের সভা ডাকা হয়েছে। সতর্কতার সাথে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে শাখা ব্যবস্থাপকদের পরামর্শ দেয়া হয়।
সোনাগাজী পৌর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুর নবী জানান, পৌর শহরে দিনদুপুরে এমন ঘটনা খুবই দু:খজনক। ব্যাংক-অফিসে যাতায়াতের পথে সিসি ক্যামেরা নিশ্চিত করা খুবই জরুরী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে নজরদারি আরো বাড়াতে হবে। রাতের বেলায় অপরিচিত লোকজন দেখলে সার্চ করা গেলেও দিনের বেলায় এমন ঘটনা মনিটরিং করা সম্ভব হয়না।
তার ছেলে গোলাম মাওলা ফেনীর সময় কে জানান, তার বাবা দেলোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন দেলোয়ার এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করতেন। গত প্রায় ১৮-২০ বছর আগে এ ধরনের একটি দূর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। তখন আর্থিক ক্ষতি হলেও এবার আর প্রাণে বাঁচলেন না।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো: খালেদ হোসেন জানান, ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন মারা যাওয়ার আগে পৌর শহরের যেই ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেছেন সেখানকার আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ছিনতাই চক্রে জড়িতদের শনাক্ত করতে এসব ফুটেজ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
পুলিশের সোনাগাজী সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো: মাশকুর রহমান ফেনীর সময় কে জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতদের সনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের পরিবারকে মামলা করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত; গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের একটি ব্যাংক থেকে দুই লাখ টাকা তুলে মতিগঞ্জ বাজারে নিজ দোকানে ফিরছিলেন দেলোয়ার হোসেন। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তাকে অচেতন করে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে শহরের ভাই ভাই হোটেলের সামনে ফেলে চলে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।