দৈনিক ফেনীর সময়

সোনাগাজীতে ১২দিনে ২০ গরু-মহিষ চুরি

সোনাগাজীতে ১২দিনে ২০ গরু-মহিষ চুরি

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সোনাগাজীতে হঠাৎ করে গরু-মহিষ চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। গত ১২দিনে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় গোয়াল ঘর ও খামার থেকে রাতের আঁধারে ১৪টি গরু ও ৬টি মহিষ চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। মহিষ ও গরুগুলোর মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। চলতি মাসের ১-১২ তারিখ পর্যন্ত উপজেলার চর সাহাভিকারী, আহাম্মদপুর, দক্ষিণ মঙ্গলকান্দি, আকিলপুর, সুলাখালী, দক্ষিণ পূর্ব চর চান্দিয়া, দক্ষিণ চরচান্দিয়া ও পৌরসভার তুলাতলী এলাকা থেকে গরু-মহিষগুলো চুরি হয়েছে। হঠাৎ করে গরু-মহিষ চুরি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার ছোট-বড় খামারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করেছেন।

গরুর মালিক ও স্থানীয়রা জানায়, গত সর্বশেষ গত সোমবার রাতে উপজেলার সুলাখালী এলাকার মাইন উদ্দিন নামে এক খামারীর বাড়ি থেকে দুটি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। এর আগে উপজেলার চরসাহাভিকারী এলাকার বিধবা নারী ফাতেমা আক্তারের গোয়াল ঘর থেকে দুটি, পৌরসভার তুলাতলী এলাকার রফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে দুটি, দক্ষিণ মঙ্গলকান্দি ও আকিলপুর এলাকার সালা উদ্দিনের দুটি সাহাব উদ্দিনের একটি, পশ্চিম আহম্মদপুর এলাকার নিজাম উদ্দিনের দুটি গাভী ও একটি বাচুর, কবির আহম্মদের একটি গাভী, দক্ষিণ চর চান্দিয়ার মোবারক হোসেনের ১টি এবং দক্ষিণ পূর্ব চর চান্দিয়া এলাকার আবু ইউসুফের খামার থেকে ছয়টি মহিষ চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা।

চর সাহাভিকারী এলাকার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত রবিবার রাতে তার দোকানে ঢুকে একটি ল্যাপটপ, নগদে ৩৮ হাজার ২শ টাকাসহ প্রায় দেড় লাখ টাকার জিসিনপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। এসব ঘটনার মধ্যে শুধুমাত্র চর সাহাভিকারীর ফাতেমা আক্তার দুটি গরু চুরির কথা উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছে।

ব্যাপক হারে চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে অতিরক্তি পুলিশ সুপার (অপরাধ) নাদিয়া সুলতানা, সোনাগাজী সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. মাশকুর রহমান ও থানার ওসি মো. খালেদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েকটি চুরি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. খালেদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিদিন রাতে পুলিশে ছয়-সাতটি দল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকে। এরপরও যেসব ঘটনা ঘটছে, তা দু:খজনক। পুলিশ চুরি হওয়া গরুগুলো উদ্ধার ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চোরদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!