নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের ট্রাংক রোড ও শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক। বেলা ১১টা থেকেই যানজট শুরু হয়। ইফতারের সময় কিছুটা সড়ক ফাঁকা থাকলেও সন্ধ্যার পর আবার যানজট। শহরের মহিপাল থেকে ট্রাংক রোড কিংবা ট্রাংক রোড থেকে বের হতে যে কাউকে আধঘন্টা কিংবা কখনো কখনো ঘন্টাখানেক যানজটে আটকে থাকতে হয়। এতে করে যানজটের পাশাপাশি তীব্র গরমে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সববয়সী নারী-পুরুষ। অসহনীয় এ যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের হিমশিম খেতে হয়।
গতকাল শহরের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, পবিত্র রমজান মাস ঘিরে কয়েক দিন ধরে শহরের মানুষের চলাচল বেড়েছে। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে কেনাকাটার জন্য শো-রুম, মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলোয় ভিড় বাড়ছে। জেলা শহর হওয়ায় উপজেলা কিংবা গ্রামাঞ্চলের মানুষ ঈদের কেনাকাটা করতে আসছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অন্য সময়ের তুলনায় মানুষের চাপ বেশি। বিশেষ করে শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক, ট্রাংক রোডের দোয়েল চত্ত¡র থেকে মডেল থানা, বড় মসজিদ পর্যন্ত, মিজান রোড, কলেজ রোড ও পোষ্ট অফিস রোডে যানজটে দীর্ঘক্ষন আটকা পড়েন অনেকে। সড়কের আশপাশের ফুটপাত বেদখল হয়ে পড়ায় পথচারীরা দূর্ভোগ পোহাতে হয়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানের সামনে মোটর সাইকেল, সিএনজি অটোরিক্সা এমনকি ব্যক্তিগত গাড়ী পার্কিং করায় যানজট আরও বেড়ে যায়।
এদিকে যানজট নিরসন ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের পাশাপাশি মাঠে নেমেছেন পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। মাঝে মাঝে রাতেও সড়কে দাঁড়িয়ে যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা যায়। পৌরসভা সূত্র জানায়, ফুটপাত বেদখল থাকলেও ঈদের আগমুহুর্তে মানবিক কারণে সরানো যাচ্ছে না। অপরদিকে অবৈধ সিএনজি এবং যত্রতত্র পার্কিংও ঠেকাতে হিমশিম খেতে হয়।
সোনাগাজী থেকে আসা রোকসানা আমিন জানান, গতকাল তিনি মেয়েদের জন্য কাপড় কিনতে ফেনী শহরে এসেছিলেন। বড় মসজিদ থেকে ট্রাংক রোডের জিরো পয়েন্ট পৌঁছতে কয়েকবার ট্রাফিক জ্যামে পড়েছেন।
ফেনীর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আনোয়ারুল আজিম জানান, শুধুমাত্র ফেনী শহরে যানজট নিরসনে প্রতিদিন গড়ে দুই শিপটে ১২টি পয়েন্টে ২৪ জন করে ৪৮ জন ট্রাফিক পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছেন। ঈদের আগে কেনাকাটা করতে শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের লোকজন আসায় যানজট বেড়েছে। তবে কিছুদিন পর ঈদ কেনাকাটায় মানুষের চলাচল আরো বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি পৌরসভার পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক দেয়া হয়েছে। এছাড়া যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং থেকে বিরত থাকা, ফুটপাত দখলমুক্ত ও দিনের বেলায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শহরে গাড়ী নিয়ে না বের হলে যানজট অনেকাংশে কমে যাবে।