নিজস্ব প্রতিনিথি :
ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে বিভিন্ন ধরনের পরিবহন থামিয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।মঙ্গলবার ওই চাঁদাবাজদের দাগনভূঞা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার দাগনভূঞা পৌর এলাকার জিরো পয়েন্ট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট ওই সড়কের বিভিন্ন ট্রাক, মিনি ট্রাক, বাস, সিএনজি থেকে জোরপূর্বক অবৈধভাবে চাঁদাবাজী এবং চাঁদা দিতে না চাইলে চালকদের মারধর সহ নানাভাবে লাঞ্চিত করে আসছিলেন।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উক্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেন র্যাব-৭। সরেজমিনে অভিযোগের সত্যতাসহ চাঁদাবাজ চক্রের বিভিন্ন হোতাদের সন্ধান এবং চাঁদা আদায়ের কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করে সেখানে অভিযান চালায় তাঁদের একটি দল।
এসময় স্থানীয় পৌর এলাকার সওদাগর বাড়ির মৃত সিরাজুল হকের ছেলে মো: জাকির হোসেন (৩০), উত্তর চিধরপুর এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে মো: রমজান আলী (৩০), উত্তর চাঁদপুর এলাকার আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে মো: মাঈন উদ্দিন (৪২), উপজেলার আমানউল্লাহপুর এলাকার মফিজ উল্লাহর ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৬), ইসলামপুর এলাকার মৃত আবুল বাশারের ছেলে মো: ইউসুফ (৪৮), সোনাগাজী উপজেলার আটকাইম এলাকার। আব্দুল শুক্কুরের ছেলে আব্দুল আল রাজু (২২), নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো: আলাউদ্দিন (৩৫) আটক করেন।
পরবর্তীতে তাদের দেহ তল্লাশী করে বিভিন্ন গাড়ী হতে আদায়কৃত চাঁদার নগদ ৩৩ হাজার ২শত ২৫ টাকা এবং চাঁদা আদায়ের বিপুল পরিমান ভূয়া রশিদ বহি উদ্ধারসহ এঘটনায় ওই ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের দাবি, গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ দাগনভূঞা পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন পরিবহন চালকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক অবৈধভাবে নামে বে-নামে ভূয়া রশিদ অথবা কখনো কৌশলে মাসিক ভিত্তিতে মোটা অংকের অর্থ চাঁদাবাজি ছাড়াও উক্ত এলাকায় প্রতিদিন লাইনম্যানরা সকাল-বিকাল দুইটি শিফটে প্রতিটি ট্রাক, মিনি ট্রাক, বাস এবং সিএনজি অটোরিক্স থেকে প্রতিবার আসা-যাওয়ার সময় ২০ টাকা থেকে শুরু ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে মর্মে স্বীকার করে।
ফেনীস্থ র্যাব-৭ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড লিডার মোহাম্মদ সাদেকুুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি এবং আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।