দৈনিক ফেনীর সময়

ফেনীতে রিকুইজিশন আতংকে মাইক্রো-কার মালিকরা

ফেনীতে রিকুইজিশন আতংকে মাইক্রো-কার মালিকরা

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ফেনীতে রিকুইজিশনের কথা বলে একবার গাড়ি ধরলেই তিন দিনের জন্য আটকে যায়। গাড়ীপ্রতি নিত্য খরচ ৫ হাজারের বেশি থাকলেও সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে দেয়া হয় শুধুমাত্র ৪শ টাকা। এতে করে গাড়ীর চালকদের জীবন-জীবিকা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ফলে রিকুইজিশন আতংকে ভুগছেন মাইক্রো-কার মালিকরা।

মহিপাল মাইক্রো-কার কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি মহিবুল্লাহ মামুন চৌধুরী জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে সরকারি কর্মকর্তা এমনকি গোয়েন্দা শাখায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিউটি করার জন্য রিকুইজিশন দেয়া হয়। প্রয়োজন অনুপাতে গাড়ী সরবরাহ করা হলেও খরচ বাবদ মাত্র ৪শ পরিশোধ করেন। অথচ ব্যাংক লোন, ড্রাইভার বেতন, গাড়ী মেইটেইন বাবদ এ টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তার দাবী, একজন চালকের বেতন ১ হাজার, তার খাওয়া ২শ, গাড়ী ভাড়া ২ হাজার ৫শ, তেল-গ্যাস-মবিল ১ হাজার ৫শ, মেনটেইনেন্স ৩শ টাকা খরচ থাকে। একটি গাড়ী একবার রিকুইজিশন করা হলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক ৬ মাস পর্যন্ত রিকুইজিড করা যাবেনা। এ বিষয়ে তিনি পর্যাপ্ত খরচ পেতে সম্প্রতি বিভাগীয় কমিশনারকে লিখিতভাবে আবেদন জমা দিয়েছেন।

জানা গেছে, জনস্বার্থ ছাড়া কোনো কাজেই গাড়ি রিকুইজিশন না করতে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি গাড়ি রিকুইজিশনের সময় মালিক বা চালককে হয়রানি না করতেও বলা হয়। রিকুইজিশন করা গাড়ির মালিক বা চালককে বর্তমান হারে গাড়ির ভাড়া পরিশোধ ও গাড়ির কোনো ক্ষতি হলে সাত দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

চালকদের অনেকে জানান, হাইকোর্টের এ-সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনাই মানা হচ্ছে না। জোর-জবরদস্তি করে গাড়ি রিকুইজিশনে খাটানো হয়। হয়রানির ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস করেন না। মাসে অন্তত একবার করে অধিকাংশ গাড়ি চালককে রিকুইজিশনের শিকার হতে হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!