নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদেন মধ্যে হাতাহাতি ও হট্টগোলের ঘটনাসহ মারমুখী আচরণের ঘটনায় ওই সভা পন্ড হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলো।
রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ওই সভার শেষাংশে এঘটনা ঘটে। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান এবং উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পরবর্তী সম্পাদক কে হচ্ছেন, এমন জনমত জরিপে একটি মন্তব্য এবং মুছাপুর ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন প্রশাসন বন্ধ করে দেয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ও সেতুমন্ত্রীর ভাগ্নে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকীন রিমনের মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এসময় দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি থেকে মারামারির উপক্রম হয়।
সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবা উল আলম ভূঁইয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিনের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও তারা ঝগড়া থেকে নিবৃত্ত না হওয়ায় পুরো হল রুমে উপস্থিত সকলে স্তম্ভিত হয়ে যায়। পরে হ্যান্ড মাইকে ইউপি চেয়ারম্যানদের হাতাহাতি থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, গণমাধ্যমকর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরিস্থিতি শান্ত হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবা উল আলম ভূঁইয়া এবং উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন দুঃখ প্রকাশ করেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন ঝগড়ায় লিপ্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদ্বয় সহ উপস্থিত সকল ইউপি চেয়ারম্যানকে তাঁর অফিস কক্ষে চা-কপির নিমন্ত্রণ জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।