দাগনভূঞা প্রতিনিধি :
দাগনভূঞায় দুটি পদে থেকে পৌরসভা ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন আবদুল কুদ্দুস মিজান। কর্তৃপক্ষ জেনেও সরকার দলীয় নেতা হওয়ায় মিজানকে বছরের পর বছর এ বেআইনী সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জগতপুরের বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুস মিজান দাগনভূঞা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী পদে কর্মরত রয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। দুই মেয়াদের ৮ বছরে তিনি পৌরসভা থেকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা সম্মানীভাতা নিয়েছেন। স্কুল থেকে প্রতি মাসে বেতন নিচ্ছেন ১৬ হাজার।
পৌরসভা সূত্র জানায়, তিনি কখনো নিজে স্বশরীরে কিংবা কখনো লোক মারফত সম্মানিত ভাতা নিয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, স্কুলের কোষাগার থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার ও সরকারীভাবে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার টাকা নিয়ে আসছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুল হক জানান, দুই প্রতিষ্ঠান বেতন ভাতা নেয়ার অভিযোগ কেউ করেনি। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি কি উল্লেখ করেছেন তা খোঁজ করলে জানা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া জানান, দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ভাতা নিচ্ছে কিনা খোঁজ নেব।
ফেনীর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মো: বাতেন জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে আবদুল কুদ্দুস মিজান জানান. একটি সম্মানীভাতা অপরটি রাজস্ব খাত থেকে বেতন পান। এটি নেয়ার ক্ষেত্রে আইনী বাধ্যবাধকতা নেই বলে তিনি জেনেছেন।