দৈনিক ফেনীর সময়

ফেনীতে দূর্গাপূজায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরা

ফেনীতে দূর্গাপূজায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ফেনীতে এবার ১৪৩টি মন্ডপে দূর্গাপূজা উদযাপনে পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে। এনিয়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্তসময় পার করছেন শিল্পীরা। পূজায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র জানায়, আগামী ১ অক্টোবর শনিবার ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শারদীয় এই উৎসব শুরু হবে। ৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। জেলায় ১৪৩টি মন্ডপের মধ্যে সদরে ৪৬টি, পৌরসভায় ১১টি, ফুলগাজীতে ৩২টি, সোনাগাজীতে ২৩টি, দাগনভূঞায় ১৯টি, পরশুরামে ৭টি ও ছাগলনাইয়ায় ৫টিতে পূজা উদযাপন হবে।

শহরের গুরুচক্র মন্দিরে গিয়ে দেখা গেছে, শিল্পী কানাই পাল প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত। তিনি ছাড়াও শিল্পী সুশীল পাল, সুনীল পাল, মধুপাল ও শ্রীচরণ পালসহ ২০-২৫ জন কারিগর প্রতিমা তৈরি করছেন। এখন রং-তুলি ও বস্ত্র পরিধানের কাজ চলছে।

কানাই পাল বলেন, এবার তিনি ১৮টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরি করছেন। মাটি, বাঁশ, খড় ও কারিগরের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনিল নাথ জানান, আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী পূজার পর বিসর্জনে শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হবে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল জানান, ইতিমধ্যে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদসহ সব মন্ডপের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নিয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণের জন্য পৃথক দল গঠন করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ডপে পূজার শুরু থেকে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত পুলিশ-আনসারদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি বলেন, বড় মন্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। পুরুষ ও নারী দর্শনার্থীদের প্রবেশের জন্য পৃথক লেন করা হচ্ছে। এছাড়া অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল, চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে। এছাড়া মসজিদে আজান ও নামাজের সময় মাইকসহ অন্য সাউন্ড বন্ধ রাখা হবে।

পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা মন্ডপগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তিন স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি প্রতিটি পূজা মন্ডপে পুলিশের সঙ্গে আনসার-ভিডিপি সদস্য ছাড়াও দুইজন করে মহিলা আনসার নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া পুলিশের ভ্রাম্যমাণ দল টহলে থাকবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!