মানুষ কখন বার্ধক্যে পৌঁছে অথবা কাকে বার্ধক্য কাল বলে? বয়স হলেই কি মানুষ বার্ধক্যে পৌঁছে যায়? অপরিণত বয়সে কারো মৃত্যু হলে আমরা তাকে অকাল মৃত্যু বলে থাকি। পরিণত বয়সে বিশেষ করে সত্তুর-পঁচাত্তর পেরিয়ে, জ্বরা ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে, কিছুকাল বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে রোগ-শোক ভোগ করে মৃত্যু হলে আমরা তাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলি। পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র প্রাণী যাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক অথবা অপ্রাতিষ্ঠানিক সর্বাবস্থায় জীবন ধারণ কৌশল শিখতে হয়। মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করার পর প্রত্যেক মানব শিশুকে উপযুু পরিচর্যা দিয়ে লালন পালন করে বড় করে তুলতে হয়। এটি হয়ে উঠে মা, বাবা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, চাচা-চাচী, ফুপা-ফুপু, নানা-নানি, খালা-খালু, মামা-মামী ইত্যাদি এবং সমাজের মানুষের আদর-যত্ন ও সাহচর্যে। পশু, পাখি, কীটপতঙ্গ ইত্যাদির জীবন যাপন প্রণালী স্রষ্টা প্রদত্ত। একটা মুরগির ছানা ডিম থেকে বের হয়েই মাটি খুঁড়ে খাবার তালাশ করে। এই কৌশল তাকে কেউ শেখায়নি। এটি মহান আল্লাহ প্রকৃতিগত ভাবেই ঐ প্রণীর সত্তার মধ্যে দিয়ে দিয়েছেন। মানুষ একটা সময়ে যেমন অন্যের সাহচর্যে মানুষ হয়ে উঠে, ঠিক একই ভাবে পরিণত বয়সে তাকে অপরের প্রতি দ্বায়িত্বশীল হয়ে উঠতে হয়। এ জন্যই কবির ভাষায় গানের ছন্দে উঠে এসেছে-
‘মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারেনা, ও বন্ধু।
মানুষ এই শিক্ষা কিভাবে অর্জন করেছে? মানুষ এই সকল শিক্ষা অর্জন করেছে মনিষীদের কাছ থেকে। ধর্মের মাধ্যমে। প্রত্যেক মানব গোষ্ঠী যুগে যুগে ধর্ম যাজকদের মাধ্যমে সু-কর্ম শিক্ষা অর্জন করেছে। ধর্ম মানুষকে একের প্রতি অপরের দ্বায়িত্ব কর্তব্য এবং স্রষ্টার ধ্যান ও বিধিনিষেধ পালনের মাধ্যমে দুনিয়ায় পূর্ণ্য লাভ ও পরকালে অপার শান্তি লাভের জানান দিয়েছে। দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবন একটি পরীক্ষা ক্ষেত্র মাত্র। দুনিয়ার জীবন শুধু রং তামাশা, ভোগ-বিলাস, গাড়ী, বাড়ি, ধন-সম্পদ এবং অপরিমেয় ঐশ্বর্য অর্জনের জায়গা নয়। যদি ভোগ-বিলাস, ঐশ্বর্য-ই জীবনের সার কথা হতো, তবে যুগে যুগে আদম, হাওয়া, ঈসা, মূসা, মুহাম্মদ সা:, রাম, কৃষ্ণ, নানকশাহী, বুদ্ধ সকলেই ধ্যাণ ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি অপরিসীম সম্পদ অর্জনে প্রবৃত্ত হতেন। কিন্তু কোন ধর্মাবতারের জীবনীতে এর বিন্দুমাত্র ছিঁটেফোঁটা লক্ষণ পাওয়া যায় না।
একমাত্র ধর্মই মানুষকে সভ্য হতে শিখিয়েছে। ধর্মই পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের, সন্তানের প্রতি পিতা-মাতা, আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীর হক, দ্বায়িত্ব, কর্তব্য সম্পর্কে আচরণের বিধিনিষেধ শিখিয়েছে।
লেখাটা শুরু করেছিলাম বার্ধক্য নিয়ে। মানুষ স্বাভাবিক জীবনের একটা লম্বা সফর (শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য, এবং যৌবনকাল) শেষ করে যখন বার্ধক্যে উপনীত হয়, তখন ঐ বার্ধক্য কালের সাথে শৈশবের কোন পার্থক্য থাকেনা। তাইতো মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনুল কারিমে এরশাদ করেছেন- তোমরা বৃদ্ধ বয়সে তোমাদের মা বাবার প্রতি এমন আচরণ করো যেমনটা শৈশবে তোমার সাথে করেছে। মা-বাবার প্রতি আচরণের বিষয়ে প্রিয়নবী মুহাম্মদ সাঃ কঠোর শতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন।
আমরা কি কখনো ভেবেছি, শৈশবে কতশত রাত কতোবার আমি আমরা বিছানা নষ্ট করেছি। মায়ের বুক ভিজিয়ে দিয়েছি। যতবার বিছানা নষ্ট করেছি মা ততবার কাঁথা কাপড় বদলে দিয়েছেন । কতো রাত মা আমাকে শুকনো কাপড় দিয়ে নিজে কাঁথার ভেজা অংশে শুয়ে রাত পার করেছেন। কিন্তু বার্ধক্যে মা বাবার শিশু আচরণ আমরা সন্তানেরা সহ্য করতে পারিনা। আড়ালে আবড়ালে অবহেলা করি। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করি। বিছানা নষ্ট করলে ধমক দিই। ঘরে ডুকলে অসুচি লাগে। গেন্না গেন্না হাসপাস করে মন। তাদেরকে দেখে রাখার সময়ই করতে পারিনা। কারণ আমার যৌবন আমাকে ব্যাস্ত করে রেখেছে। কতো কাজ, কতো মিটিং, কতো রকমের ধান্দার ফিকির। তাদের বার্ধক্য, অসুস্থতায় আমার কর্মের ক্ষতি। এমন-ই ঘটছে আমাদের সমাজে, আমাদের ঘরে, আশেপাশে। অর্থ উপার্জনের জৌলুশী নেশা, রোজগারের ব্যাস্ততায় আমারা এভাবেই ব্যাকুল হয়ে থাকি। মনের গভীরতর উঁকিঝুঁকি, আহ মরলে বাঁচি। এমন অনেক ঘটনা পত্রপত্রিকায় হরহামেশাই উঠে আসে সুশিক্ষিত, ধনাঢ্য পরিবারে ঠাঁই হ”েছনা বৃদ্ধ মা বাবার। চার পাঁচ সন্তান থাকার পরও মা বাবাকে নিয়ে ঠেলাঠেলির শেষ থাকেনা। বৃদ্ধ মা বাবাকে বনে জঙ্গলে রেখে আসার মত ঘটনাও কম নয়।
বেশ কিছু কাল আগের ঘটনা, ফেনীর ডায়াবেটিস হাসপাতালে পরিচ্ছন্ন এক যুবক ছেলে তার বৃদ্ধ এবং বিকারগ্রস্ত পিতাকে ডাক্তার দেখাতে আনলে পিতা ওখানে অসংলগ্ন আচরণ করলে যুবক ছেলেটি পিতাকে বেদম কিল ঘুঁষি মারতে থাকে। উপস্থিত অন্যান্য রুগীর স্বজন ও হাসপাতালের লোকজন এগিয়ে গেলে সে পিতাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে বলে, আমাদেরকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। হারামজাদা শেয়ানা পাগল। তার পাগলামি আর সহ্য হয়না। এমন অনেক অবস্থা সম্পন্ন শিক্ষিত পরিবার আছে, যেখানে নিত্য চিকিৎসা অবহেলার শিকার হয় বৃদ্ধ মা বাবা। পরিবারের সন্তানদের মধ্যে মা বাবা লালন পালন ভাগাভাগি হাতাহাতির পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে যায়। বনে জঙ্গলে রেখে আসার মত ঘটনাও ঘটে। বৃদ্ধাশ্রমেতো সেই মা বাবদেরই স্থান হয়। অথচ ধর্মীয় বিধিবিধানে মা-বাবার প্রতি দ্বায়িত্ব পালনে অগণিত নেয়ামত ও বরকতের কথা বলা হয়েছে। মা বাবার প্রতি ব্যায়কৃত প্রতিটি অর্থ ও সময়ের অতি উত্তম যাযা আল্লাহ সন্তানকে ফিরিয়ে দিবেন এমন ওয়াদা করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে তাদের প্রতি অবহেলা, অবজ্ঞা, কষ্টদায়ক আচরণের জন্য জাহান্নামের শাস্তির কথাও বলা হয়েছে। মা বাবার প্রতি অবজ্ঞা, অবহেলার জন্য দুনিয়ায়ও কিছু শাস্তির কথা বলা হয়েছে। যেমন সন্তানের পেরেশানি ও মানসিক অশান্তি বেড়ে যাবে, রুজির বরকত কমে যাবে, স্বামী স্ত্রী’তে হরহামেশা মনোমালিন্য তৈরি হবে।
মা বাবার উন্নতর চিকিৎসায় অর্থ ব্যায় না করার আরেকটি খোঁড়া যুক্তি ‘বার্ধক্য জনিত ব্যাধি’। এখন বার্ধক্যকাল, শরীরে নানান রকম অবসাদ জটিলতা এমনিতেই দেখা দিবে। রুটিন মাফিক কিছু ঔষধ খাবে এর বেশি কিছুই করার নেই, করলেও লাভ হবেনা। বার্ধক্যে মা বাবা যেমন আনপ্রোডাক্টিভ, তেমনি পরিপূর্ণ সুস্থতাতো কোনো চিকিৎসাতেই আসবেনা, তাই বড় ডাক্তার, বড় হাসপাতাল, উন্নত চিকিৎসা এসব করা আর্থিক অপচয় বৈ কিছুই নয়। এসব শয়তান প্রলুব্ধ আচরণ। যা অসার যুক্তি।
আমার মায়ের বয়স প্রায় তিরানব্বই বছর। পাঁচ বছর আগে তাঁর লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। অর্ধমাস ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর মোটামুটি সু¯’ হলে বাড়ি নিয়ে আসি। সাথে ডাক্তার আমাদের এও জানিয়ে দিয়েছেন, উনার লিভার সম্পূর্ণ কার্যক্ষম হীন। খুব বেশী সময় বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ। শীরীরে নানান ধরনের সমস্যা বিভিন্ন সময় দেখা দিতে পারে। ঐ সময় আম্মার পেট থেকে দুইবার অতিরিক্ত পানি অপসারণ করা হয়। দুইবার রক্ত এবং একবার প্লাজমা দেয়া হয়। এক বছরের মধ্যে উনার শারীরিক অবস্থা আগের মত খারাপ হয়ে উঠলে আবারো হাসপাতালে ভর্তি করি। আম্মাকে দেখে ডাক্তার বললেন, আল্লাহর বিশেষ রহমতে তিনি বেঁচে আছেন। কারণ মেডিকেল হিসাব মতে থাকার কথা না। যাক ঐবারও পেট থেকে পানি অপসারণ, রক্ত দেয়া, পরীক্ষা নিরীক্ষা ইত্যাদি শেষে বাড়ী ফিরে আসি। এরপর করোনা মহামারী। করোনাকাল নিয়ে গত তিন বছর বিভিন্ন সময় কিছু ব্যাথা বেদনা নিয়ে তিনি মোটামুটি ভালো ছিলেন। শেষের প্রায় ছয় মাস বা তারও কিছু বেশী সময় তার কোমরে ব্যাথা, পেটে ব্যাথা, ঘাড়ে পিঠে ব্যাথা। এ সময় হট ব্যাগে চলতো গরম পানির শেঁক আর নিয়মিত রুটিন করা ঔষধ। ব্যাথা বেদনা ক্রমশ বাড়তে বাড়তে এমন তিনি প্রায় দীর্ঘ সময় হট ব্যাগ সাথে রাখতেন। কোমরের ধরা ব্যাথায় একসময় বিছানা ছেড়ে উঠতে, নড়াচড়া করতে অনেক কষ্ট হতো। এভাবে বেশ কয়েক মাস চলছিলো। স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শে লংপ্যারা টেবলেট দেয়া হয়। ভারী কোন ব্যাথার ঔষধ দেয়া যাবেনা কারণ তাঁর লিভার পেলিউর। ব্যাথার ঔষধ তাঁর কিডনি অকেজো সহ নানান জটিলতা তৈরি করতে পারে। একসময় ব্যাথা বেদনায় টুকিটাকি হাঁটাচলাও বন্ধ হবার উপক্রম। বিছানা থেকে ধরে উঠাতে গেলেও যন্ত্রণায় চোখ গড়িয়ে টপটপ করে পানি পড়তো। আমরা ধরে নিয়েছি বার্ধক্যের রোগ তার উপর লিভার সিরোসিস ক্রমশ জটিলতা বাড়বে, কমবেনা। এটাকে তাঁর নিয়তি মনে করছিলাম। এর মধ্যে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের প্রভাষক (লিভার বিশেষজ্ঞ), ঢাকা থেকে আগত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েছি। কোন ফল হয়নি। সে সব ডাক্তারের তথ্য মতে আমরাও ধরে নিয়েছি বার্ধক্যের অসুখ অকেজো লিভার, চলমান শরীরের কষ্ট মানতেই হবে। কিন্তু একসময় তাঁর নিয়মিত কষ্ট আমাদের মর্মপীড়া বাড়িয়ে তোলে। শেষমেশ নিজেরা পরামর্শ করলাম অন্তত আম্মার মনের শান্তনার জন্য হলেও আবার ঢাকায় নিয়ে যাই। ঢাকায় ঐ একই হাসপাতালে তাঁর পূর্বেকার ডাক্তার দেখলেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা চলতে থাকলো। কোমর, ঘাঁড় ইত্যাদি ব্যাথার জন্য অর্থোপিডিক্স ডাক্তার কল করলেন। তার পরামর্শে কিছুু নতুন ঔষধ পত্রের সাথে থেরাপি এডভাইস করা হল। দুই দিনের থেরাপিতে আম্মার ধরা ব্যাথা প্রায় কমে গেছে। তিন দিনের থেরাপির পর তিনি স্বাভাবিক ভাবে উঠাবসা করতে পারছিলেন। সেদিন বুঝলাম বার্ধক্য জনিত ব্যাধি হলেও উন্নততর চিকিৎসায় নূন্যতম স্বাভাবিক চলাফেরার যে স্বস্তি তা বলে বোঝানো যাবেনা। সব থেকে বড় কথা বিছানায় পড়ে গেলে পায়খানা পস্রাবের কষ্ট অসহনীয়। আম্মাও ঐ সময়ে শেষ দিকে বিছানায় পায়খানা পস্রাব করছিলেন। এই কষ্ট দুর্বিষহ। আল্লাহর রহমতে এখন হাঁটাচলা করতে পারছেন। পায়খানা প্রস্রাব নিজে নিজে সারতে পারছেন। কিস্তু আমরা যদি ঐ অবস্থায় অনিরাময় যোগ্য লিভার সিরোসিস ও বার্ধক্য জনিত ব্যাধি বলে হাল ছেড়ে দিতাম তাহলে আম্মা শারীরিক ভাবে যেমন বিকলাঙ্গ শয্যাশায়ী অবস্থায় পড়তেন। একই ভাবে তাঁর সেবা সূষ্রশা নিয়েও কম যন্ত্রণা পোহাতে হতোনা। তাই বার্ধক্য বলে বৃদ্ধ মা বাবাকে অবহেলায় রাখা উচিত নয়।
মহান আল্লাহতালা এরশাদ করেন, ‘আর তোমার প্রতিপালক আদেশ করেছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করো না এবং তোমরা পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়ে যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হন, তাহলে তুমি তাদের প্রতি উহ্ শব্দটিও উচ্চারণ করো না এবং তাদেরকে ধমক দিয়ো না। তুমি তাদের সঙ্গে নম্র ভাবে কথা বলো’। ‘আর তাদের প্রতি মমতাবশে নম্রতার পক্ষপুট অবনমিত কর এবং বলো, হে আমার প্রতিপালক! তুমি তাদের প্রতি দয়া কর যেমন তারা আমাকে শৈশবে দয়াপরবশে লালন-পালন করেছিলেন’। ‘তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের অন্তরে যা আছে তা ভাল ভাবেই জানেন। যদি তোমরা সৎকর্ম পরায়ণ হও, তবে তিনি তওবাকারীদের জন্য ক্ষমাশীল’ (সূরা: বনী ইসরাঈল, আয়াত: ২৩-২৫)।
উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ স্বীয় ইবাদতের সঙ্গে পিতা-মাতার সেবাকে একত্রিত ভাবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে এটিকেও (মা বাবার আনুগত্য করা, পরম যত্নে সেবা করা) তাওহীদ বিশ্বাসের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ বুঝানো হয়েছে। এর কারণ সৃষ্টিকর্তা হিসেবে যেমন আল্লাহর কোনো শরীক নেই, ঠিক তেমনি ভাবে জন্মদাতা হিসেবে পিতা-মাতারও কোনো শরীক নেই। আল্লাহর ইবাদত যেমন বান্দার ওপর অপরিহার্য, পিতা-মাতার সেবাও তেমনি সন্তানের ওপর অপরিহার্য। আল্লাহ আমাদের বুঝবার ও পিতা-মাতার খেদমতে নিযুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন।
লেখক: চিত্রশিল্পী, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক।