নিজস্ব প্রতিনিধি :
‘আমি সুস্থ আছি, বাসায় আছি- কেউ গুজবে কান দিবেন না’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন স্ট্যাটাস দিলেও বৃহস্পতিবার বাসায় দেখা মিলেনি রাত্রীর। হাসপাতাল থেকে তার বাসায় ফেরার খবরে আত্মীয়-স্বজন ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার শহরের মিজানপাড়ার বাসায় দেখতে গিয়েও পাননি রাত্রীকে। এমনকি অনেকে মোবাইল ফোনেও তাকে পায়নি বলে ফেনীর সময় কে জানিয়েছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে বুধবার রাতে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে গোপনে সরে যায় রাত্রী। এরপর বাসার নিকটের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই হাসপাতালে পরিবারের একান্ত ব্যক্তিরা ছাড়া কেউ তার স্বাক্ষাত পাচ্ছেন না। তবে এ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় মিডিয়াকে দোষারোপ করে বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে ফেসবুকে ক্ষোভ ঝাড়েন রাত্রী।
তিনি বলেন, ‘আজকে কিছু সাংবাদিক একই কাজ করেছে আমার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে, যাই হোক তারা মনুষ্যত্ব কিংবা বিবেক, বিচার-বিশ্লেষণ না করেই শুধুমাত্র ছাত্রলীগের নেতৃত্ব-স্থানীয় পর্যায়ে থাকার কারনে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই কাজটি করেছে। আমাকে নিয়ে দিয়েছে ভালো কথা তাদের কাছে আমার অনুরোধ তারা যেন তাদের মা-বোন অসুস্থ হলেও যেন একই নিউজ করে মজা নেয় এই অনুরোধ তাদের কাছে থাকলো। যাই হোক পরিশেষে বলতে চাই সাংবাদিকতার মত মহৎ পেশা যখন কিছু মানুষ অন্য মানুষকে সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় তখন এটি অত্যন্ত দু:খজনক। মহান আল্লাহ-তালা তাদের হেদায়েত দান করুক’। তিনি আবারো বলেন, ‘আমি সুস্থ আছি, বাসায় আছি এবং আমার পরিবারের সাথে আছি।’ তিনি ঘটনাটিকে ‘গুজব’ বলে এতে কান না দিতে সবার প্রতি আহবান জানান।
ফেনী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া সুলতানা রাত্রী বুধবার রাতে অন্তত ১৫টি ঘুমের বড়ি খেয়ে শহরের মিজানপাড়ার বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মধ্য রাতে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। মুহুর্তেই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। দৈনিক ফেনীর সময় অনলাইনে তথ্যবহুল সংবাদ প্রচারিত হলে ব্যাপক আলোচিত হয়।
রাত্রী নিজেকে গ্যাষ্ট্রিক আক্রান্ত দাবী করলেও ফেনী জেনারেল হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎকরা জানান ভিন্ন তথ্য। ওই সূত্র জানান, রাত্রীকে রাত ১টার দিকে হাসপাতালে আনার পর স্টোমাক ওয়াশ করে ভর্তি দেয়া হয়। পরে কাউকে না জানিয়ে গোপনে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন।