অনলাইন ডেস্কঃ
স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলছেন, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে কোন ‘গোপন বন্দিশালা’ থাকতে পারেনা। অজ্ঞাতনামা নির্দেশে রাষ্ট্রের কোনো নাগরিক আক্রান্ত বা গ্রেফতার হতে পারেনা এবং কোন নাগরিক নির্মমতা বা বীভৎসতার শিকার হতে পারেনা। পরিকল্পিত গুম, হত্যা, নির্যাতন, অবৈধ আটক এবং গোপন বন্দিশালা শুধুমাত্র গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন নয় বরং এগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধেরও সমতুল্য।তাই দ্রুত ‘তদন্ত কমিশন’ গঠন করে কথিত ‘আয়নাঘর’ এর প্রকৃত অবস্থা জাতির সামনে উপস্থাপন করে জনগণকে ভয় ভীতি মুক্ত করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।
আজ শরীয়তপুর জেলা জেএসডি প্রতিনিধি দলের সাথে এক বৈঠকে আ স ম রব উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন। উত্তরাস্থ বাসভবনে আয়োজিত বৈঠকে বক্তব্য রাখেন জেএসডি’র কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ ইউসুফ। আ স ম রব আরো বলেন রাষ্ট্রের নিরাপত্তার নামে সরকারের গোপন অভিলাষ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে ভিন্ন মত ও পথের মানুষকে তুলে নিয়ে গোপন কারাগারে অন্ধকারাচ্ছন্ন কারাকক্ষে মাসের পর মাস বা বছরের পর বছর আটক রেখে ভয়াবহ নির্যাতন করা আইনগত বা নৈতিকভাবে গ্রহণীয় নয়। আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার, গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৩ অনুচ্ছেদ যে সুরক্ষা প্রদান করেছে তা লঙ্ঘন করার এখতিয়ার প্রজাতন্ত্রের কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই। এই নিষ্ঠুর রাষ্ট্রব্যবস্থা উচ্ছেদ করা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন,বাংলাদেশ কারো উপনিবেশ নয়।অবিলম্বে গুম, খুন, নির্যাতন, অবৈধ আটক ও গোপন বন্দিশালা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করত হবে এবং সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে সাংবিধানিক শৃংখলায় পুনঃ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ফ্যাসিবাদি সরকার এবং নৃশংস রাষ্ট্র ব্যবস্থা বদল করার লক্ষ্যে গণজাগরণ সৃষ্টি করার উপযোগী সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। শরিয়তপুর জেলা জেএসডির আহবায়ক নূরুল ইসলাম মাল এর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন মাষ্টার সামছুল হক মোল্লা,শফিকুল ইসলাম শফিক,আবদুর রব সর্দার, মোহাম্মদ নূরুল আমিন, আহসান হাবিব প্রমুখ।