নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী ইউনিভার্সিটির কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ফেনী ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড.এম জামালউদ্দীন আহমদ।
এরপর ফেনী ইউনিভার্সিটির ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ ফেনী কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে সমবেত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে ফিরে এসে আলোচনা সভায় যোগ দেন।
ফেনী ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.মো.মোস্তফা কামাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড.এম.জামালউদ্দীন আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি পাকিস্তানি শাসকদের ভয়াবহ জুলুম এবং অত্যাচারের ইতিহাস তুলে ধরেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক দেশগড়ার স্বপ্নে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তারা এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে মানুষের মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা থাকবে, সবার কর্মসংস্থান হবে, সমাজে শোষণ ও বৈষম্য থাকবেনা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এখনো অসংখ্য মানুষ অশিক্ষা ও দরিদ্রতার মধ্যে ডুবে রয়েছে। জনগণের জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। বেকারত্ব, মাদকের নেশা ও কিশোরগ্যাংয়ের মত ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি আমরা অতিক্রম করছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সহ নানা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন করছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। সরকারের কাছে আহ্বান জানাই যাতে সংশ্লিষ্ট মহলের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ী এবং তাদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়। যাতে করে পবিত্র রমজানের বাকি দিনগুলো মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় সততা, নিষ্ঠা এবং স্বচ্ছতার সাথেই দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.মো.মোস্তফা কামাল বলেন, ধর্মীয় রাজনীতি দেশকে বিভাজনের দিকে নিয়ে যায়। বর্তমান পাকিস্তানের দিকে তাকালে তা বোঝা যায়। তারা একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পুথিবীতে টিকে আছে, বাংলাদেশ সে হিসেবে অনেকগুণ ভালো আছে। এসময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসপাঠ ও গবেষনা কাজে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বুশরা জেসমিন তৃশা, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক আবুল কাশেম, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল ইউনুস সহ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।