দৈনিক ফেনীর সময়

স্যার ফজলে হাসান আবেদ উন্নয়নের রোলমডেল

উপ-সম্পাদকীয়

নাজমুল হক :

স্যার ফজলে হাসান আবেদ বিশ্ববাসীর কাছে একজন উন্নয়নের আইকন। ১৯৭২ সাল থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য নিরলশভাবে কাজ করে গেছেন। ব্র্যাক আজ বিশ্বের নাম্বার ওয়ান এনজিও। আমরা যারা ৮০ দশকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছিলাম তখন জেনারেল এরশাদের শাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজটের কারণে চার বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবন আট বছর লেগেছে। উচ্চ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের বেকারত্ব ঘোচানোর একমাত্র আশ্রয়স্থল ছিল ব্র্যাক। সেই সুবাদে ১৯৯৪ সালে জীবনের প্রথম চাকুরির ইন্টারভিউ দিলাম উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এ। চাকুরী হয়ে গেল ৩রা অক্টোবর ব্র্যাক যোগদান করেছিলাম। ৩ (তিন) বছরে অনেক কিছু দেখলাম এবং শিখলাম। ব্র্যাক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের আর্থসামাজিক ও অর্থনৈতিক আবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন। নারীদের তৈরি কুটিরশিল্প দেশে বিদেশে বিক্রয়ের জন্য আড়ংয়ের আউটলেট চালু করে নারীদের আয়ের সুযোগ করে দিয়েছে।

ব্র্যাক প্রতিষ্ঠাতা স্যার আবেদ ভাইকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সভা এবং সেমিনারে দেখেছিলাম । তখন তার সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ হয়েছে। একজন উচ্চ শিক্ষিত বিনয়ী ও মিতভাষী মানুষ, যিনি ব্র্যাককে বিশ্ববাসীর নিকট উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণ সামাজিক ব্যবসার মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। চার্টার্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিংয়ে লেখাপড়া শেষ করে ১৯৬৮ সালে চট্রগ্রামে শেল অয়েল কোম্পানির চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার হিসেবে চাকুরীকালীন সময়ে ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ভোলা হাতিয়া সন্দ্বীপ মনপুরা উপকুলীয় এলাকায় প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। মারা যাওয়া মানুষের অধিকাংশই গরীব নারী ও শিশু। তিনি গরীব মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন করার মাধ্যমে উন্নয়ন সংস্থার কাজ শুরু করেন। স্যার আবেদ ১৯৭১ সালে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে এ্যাকশন বাংলাদেশ এবং হেলপ বাংলাদেশ সংগঠন গড়ে তুলে মুক্তিযুদ্ধের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭২ সালে নিজের লন্ডনের ফ্লাটটি ১৬,০০০ পাউন্ড দামে বিক্রি করে শাল্লা ও দিরাই উপজেলায় শরনাথীদের মাঝে ত্রান ও পুনবাসন এর মাধ্যমে ৩৬ বছর বয়সে ব্র্যাক এর কাযক্রম শুরু করেন। গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে তার দীর্ঘ অভিযাত্রার সূচনা ঘটে। দরিদ্র মানুষ যাতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে নিজেরাই নিজেদের ভাগ্যনিয়ন্তা হয়ে উঠতে পারে, সেই লক্ষ্যে তিনি ব্রাক কর্মসূচি পরিচালনা করেন। বিগত প্রায় ৫৫ বছরে স্যার আবেদ তার একক অভূতপূর্ব নেতৃত্বের মাধ্যমে সারাবিশ্বেই উন্নয়ন মডেলের বিস্তার ঘটান। ব্র্যাক পরিণত হয় বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায়। বর্তমানে বিশ্বের ১২টি দেশে ব্র্যাকের লক্ষাধিক কর্মী প্রায় তেরো কোটি মানুষের জীবনে উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

স্যার আবেদের সুযোগ্য নেতৃত্বই অজস্র প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ব্র্যাকের সামাজিক ব্যবসা, উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণ এসডিজির বিভিন্ন সুচকের অর্জনকে সম্ভব করে তুলেছে। ১৯৭২ সালে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক, ২০০১ সালে চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ১ আগস্ট চেয়ারপারসন পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ডায়রিয়ার মহামারি থেকে শিশুদের রক্ষার জন্য গ্রামের অবলা নারীদের এক চিমটি লবণ, এক মুষ্টি গুড় এবং আদা লিটার পানি মিশিয়ে ওরস্যালাইন তৈরি করতে প্রতিটি গ্রামে দক্ষ সেবিকা তৈরি করে ডায়রিয়া রোধ করেন। পল্লী অঞ্চলে মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন ও শিশু ও কিশোরী স্কুল প্রতিষ্ঠা করে দরিদ্র মানুষের কাছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিয়েছেন। শিশুমৃত্যুর হার কমানো, মাতৃ মৃত্যুর হার কমানো, স্যানেটারী ল্যাটিন, বিশুদ্ধ পানি, পুস্টি,যক্ষা নিয়ন্ত্রন, ছোট পরিবার, চাকুরীজীবি মায়ের শিশুর লালন কেন্দ্র, কমজীবি নারীর জন্য কাজ করেন। নারী ও পুরুষ এর অর্থনৈতিক কাজের সুযোগ সৃষ্টির পর ব্র্যাক যখন দাঁড়িয়ে গেছে, তখন ব্র্যাক ব্যাংক, আড়ং, বিশ্ববিদ্যালয়, ট্রেনিং সেন্টার, আড়ং দুধ, লবণ, সিড, ফিড ইত্যাদি এবং অভিবাসীদের মধ্যে মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম চালু করেন।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক মর্যাদা রক্ষার জন্য বিভিন্ন কাযক্রম চালু করতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্র্যাক প্রায় ৯০০ কমী নিয়োগ করে। ব্র্যাক মানুষের জন্য আমরা এই সাবজনীন শ্লোগান বিশ্ববাসীর কাছে পৌছে দিয়েছেন। ব্র্যাক কোভিড-১৯ ক্ষতি পুষিয়ে দিতে খাদ্য ও নগদ টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্যাক। ব্র্যাক থেকে অবসর নেওয়া দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনশক্তি বাংংলাদেশে র বিভিন্ন এনজিও এর প্রধান নিবাহী অথবা এনজিও এর প্রতিষ্টাতা। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং আড়ং গুনে ও মানে নিজস্ব অবস্থান তৈরি করেছে। শিশু ও কিশোর কিশোরীদের স্কুল পরিচালনার জন্য ভবিষ্যতে ব্র্যাক নোবেল পুরষ্কার পেতে পারে। এসডিজি অর্জনে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি এনজিও বিশেষ অবদান রাখছে।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারঃ ‘ইদান প্রাইজ’ পুরস্কার (২০১৯), উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অসাধারণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ লেগো ফাউন্ডেশন কর্তৃক লেগো পুরস্কার (২০১৮), দারিদ্র্য পীড়িত মানুষের সম্ভাবনা বিকাশে সি অ্যাওয়ার্ড (২০১৭), ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ (২০১৫), ট্রাস্ট উইমেন হিরো অ্যাওয়ার্ড (২০১৪), স্প্যানিশ অর্ডার অব সিভিল মেরিট (২০১৪), লিও টলস্টয় ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড মেডাল অ্যাওয়ার্ড (২০১৪), শিক্ষায় ওয়াইজ প্রাইজ ফর এডুকেশন (২০১১), ডেভিড রকফেলার ব্রিজিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড (২০০৮), ক্লিনটন গ্লোবাল সিটিজেন অ্যাওয়ার্ড (২০০৭), অ্যাওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যান্ডিং কনট্রিবিউশন টু হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (২০০৪), ওলফ পামে প্রাইজ (২০০১) এবং র‌্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড ফর কমিউনিটি লিডারশিপ (১৯৮০)। এছাড়াও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অশোকা স্যার ফজলে হাসান আবেদকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা কমিশন অন হেলথ রিসার্চ ফর ডেভেলপমেন্ট (১৯৮৭-৯০), ইন্ডিপেনডেন্ট সাউথ এশিয়ান কমিশন অন পভার্টি অ্যালিভিয়েশন (১৯৯১-৯২) এবং হাইলেভেল কমিশন অন লিগ্যাল এমপাওয়ারমেন্ট অব দ্য পুওর (২০০৫-২০০৮)-এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্যার ফজলে হাসান আবেদ ২০১০ সালে ব্রিটেনের রানী প্রদত্ত নাইটহুড লাভ করেন। ২০১০ সালে জাতিসংঘ মহাসচিব কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশসমূহের উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত পরামর্শদাতা দলের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০১৪ ও ২০১৭ সালে ফরচুন ম্যাগাজিন কর্তৃক স্যার ফজলে হাসান আবেদ বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী ৫০ জন ব্যক্তিত্বের অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। স্যার ফজলে হাসান আবেদ ২০১৯ সালে নেদারল্যান্ডের রাজা কর্তৃক নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত হন।

তত্তাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেনঃ স্যার ফজলে হাসান আবেদ। অসাধারণ দায়িত্ববোধ, সহমর্মিতার গভীর জীবন দর্শন ও নিরলস শ্রমের এক অবিস্মরণীয় ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষটারও ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকে, এই বিশ্বাসে ভর করেই তিনি সফলভাবে গড়েছেন বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক। বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আজ সারা পৃথিবীব্যাপী ব্র্যাক। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনুস বলেনঃ আবেদ চলে গেলো। কিন্তু তাকে বিদায় জানানো সম্ভব হবে না। সে আমাদের চিরসাথী হয়ে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে। সমাজের কোনো পরত নেই যেখানে আবেদের কর্মকান্ডের বাতাস লাগেনি। বাংলাদেশে সমাজের যে বিপুল পরিবর্তন হয়েছে আবেদ তার প্রধান রূপকার। সমাজের যত ভাঙ্গাচোরা অলিগলি, চোরাবালি, অলীক নিয়মনীতির ফাঁদ সর্বত্র ছড়িয়ে ছিল সবকিছুতে আবেদ তার সৃজনশীল প্রতিভার ছোঁয়া লাগিয়েছে। এই ছোঁয়া লাগিয়ে সবকিছু পাল্টে দিয়ে তাকে নতুন কাঠামোয় নিয়ে আসাই ছিল আবেদের ব্রত। এটা বললে বোধ হয় বাড়িয়ে বলা হবে না যে, বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষের মধ্যে খুব কম মানুষই আছেন যিনি জীবনে কোনো না কোনোভাবে আবেদের কর্মকান্ডের সুফল ভোগ করেন নি। আর তিনি যদি হন বিশাল গ্রাম বাংলার দরিদ্রদের একজন, মহিলাদের একজন তাহলে তো তাঁকে জীবনের প্রতি পদক্ষেপে আবেদের সাক্ষাৎ পেতে হয়েছে – শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রোজগার, আত্মোপলদ্ধি, আরো অনেক কিছুতে। আমাদের অজান্তে যে-আবেদ আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী তাকে আমরা বিদায় জানাবো কীভাবে?

আবেদ বাংলাদেশের গরীব মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির অসাধারণ কারিগর। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আর্থিক দৈন্যের মুক্তিদাতা। সে নিরবে তার বিশাল কর্মকান্ড গড়ে তুলেছে। সে মানুষকে ডাক দিয়ে বসে থাকেনি, একাই এগিয়ে গেছে। সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে। সে একাই এগিয়ে গেছে – একেবারে পুরো কাজটা সমাধা করার জন্য। আবেদ সারা বিশ্বে এনজিও-র কনসেপ্ট বদলে দিয়েছে। একটি এনজিও দেশব্যাপী প্রায় সকল সমস্যার সামগ্রিক সমাধান দেবার জন্য এগিয়ে আসতে পারবে এরকম ধারণা ছিল একেবারে অকল্পনীয়। দেশে বিদেশে অসংখ্য রকম প্রতিষ্ঠান ও কর্মসূচি নিয়ে একটি বিশালায়তনের এনজিও-র ধারণা আবেদই দিয়ে গেলো। তার চাইতেও তার বড় অবদান একক এনজিও ও বহুমাত্রিক এনজিও-র ব্যবস্থাপনাকে একটা নতুন বিজ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়ে যেতে পারা। এই অবদান তাকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে। ভারত পাকিস্তান নেপাল শ্রীলংকার অর্থনৈতিক গবেষকদের কাছ থেকে বরাবরই একটি প্রশ্ন আসে: বাংলাদেশে যে যা-ই করে সেটা দেশব্যাপী করে ফেলে – আমাদের দেশে এরকম হয়না কেন? আমার বরাবরের জবাব ছিল তোমাদের দেশে ত এখনো আবেদের জন্ম হয়নি।

আবেদ একটি আত্মপ্রত্যয়ী বাংলাদেশ তৈরী করে দিয়ে গেছে। তার দুরন্ত সাহস, আত্মবিশ্বাস, সৃজনশীলতার কাহিনী আগামী সকল প্রজন্মকে অনবরতভাবে শক্তি যুগিয়ে যাবে। বহু প্রজন্ম পরেও আবেদ তাদের কাছে বাংলাদেশ হয়ে বেঁচে থাকবে।

স্যার আবেদ ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন। আবেদের অনুপস্থিতি ব্র্যাক কাজের গতি ও উন্নয়ন থেমে যাবে না। ব্র্যাক গড়ার কাজে যারা প্রায় ৫৫ বছর অবদান রেখেছে তাদেরকে স্মরণ করা উচিত। এক্ষেত্রে আমিনুল আলম অন্যতম। বিগত বছরগুলোতে যে সকল দক্ষ কমীদেরকে গোল্ড হ্যান্ডশেক দিয়ে ব্র্যাক থেকে বিদায় দিয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা স্বাস্থ্য চাকুুরির দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। নিবাহী পরিচালক আসিফ সালেহ গোল্ডহ্যান্ডশেক রিভিউ করে যাদের চাকুরী প্রয়োজন তাদেরকে প্রকল্প ভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে মানবাধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে এগিয়ে আসতে হবে। ব্র্যাকের উচিত চ্যারাইটি ওয়াক করা। বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করার মাধ্যমে মানবাধিকার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য এডভোকেসি করা।

লেখক : গবেষক ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!