দৈনিক ফেনীর সময়

ফেনী স্টেশন রোড : খানাখন্দে পানি জমে পথচারীদের দূর্ভোগ

ফেনী স্টেশন রোড : খানাখন্দে পানি জমে পথচারীদের দূর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সড়কে খানাখন্দ। কোথাও পিচ ঢালাই আছে, কোথাও নেই। বৃষ্টি হলেই পানি-কাদায় একাকার। দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করেন লোকজন। বৃষ্টি বন্ধ হলেও ড্রেন সচল না থাকায় পানি জমে থাকায় দূর্ভোগের শিকার হন চলাচলকারীরা। বেহাল এ চিত্র ফেনী শহরের রেল স্টেশন সড়কের।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সড়কটি পৌরসভার মধ্যে হলেও এটির এক-তৃতীয়াংশ পৌরসভা ও বেশিরভাগ অংশ রেলওয়ে বিভাগের অধীনে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কটির অবস্থা এখন নাজুক। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রেল যোগে ফেনী যাতায়াত করা মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়।

গতকাল দুপুরে দেখা গেছে, রেলস্টেশনে যাতায়াতের প্রধান পথ এই সড়কটিতে বৃষ্টির পানি জমে বড় ড় গর্তের সৃষ্টি হয়। আশপাশের বাসিন্দাদের অবহেলায় ড্রেন অচল হয়ে পড়েছে। ফলে পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকায় সড়কে জমে থাকে অনেকদিন। এতে করে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহন ও সাধারণ মানুষ ভোগান্তি পোহাতে হয়।

ভ্যানগাড়ী চালক মোহাম্মদ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন এ রাস্তা মেরামত হয়না। বৃষ্টি হলেই গর্ত সৃষ্টি হয়। এসব গর্তে পানি জমলে মালামাল নিয়ে গাড়ী চালাতে কষ্ট হয়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আলম জানান, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। এটি এভাবে দীর্ঘদিন পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদাসীন। পানিনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি না থাকলেও পানি জমে থাকে। তবু বাধ্য হয়েই তাদের চলাচল করতে হয়।

পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী জানান, স্টেশন রোডটি রেলওয়ের অধীনে। প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেন ও কমিশনার জয়নাল আবদীনের নামে পাড়ার একটি সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। সংস্কার কাজ শেষ হলে মানুষের দূর্ভোগ অনেকাংশে কমে যাবে।

রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের কুমিল্লা ও ফেনী স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলী মুরসালিন রহমান জানান, রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ইতিপূর্বে রাস্তাটি পরিদর্শন করেছেন। সংস্কার কাজ করতে বছরখানেক আগে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জেনেছি।

ফেনী পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার নাথ জানান, সড়কটি রেলওয়ের অধীনে। অনেক আগে কিছু অংশ পৌরসভার অর্থায়নে ঢালাই করা হয়েছিল। তাছাড়া ড্রেন সংস্কারের জন্য পৌরসভা থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!