শহর প্রতিনিধি :
ফেনী পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ড মধুপুর এলাকায় শরীফ খন্দকার নামে এক ব্যক্তির আক্রোশের শিকার হয়ে কারাবাস খাটছেন আরিফ নামে এক যুবক। সম্পর্কে তারা চাচাতো-জেঠাত ভাই। পারিবারিক পূর্ব বিরোধ নিয়ে আক্রোশ মেটাতে শরীফ পুলিশকে ম্যানেজ করে একদিনে তাকে ৬ মামলায় জড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে একটির বাদি শরীফ, অপর ৫টি মামলার বাদি পুলিশ। এসব মামলা থেকে রেহাই পেতে দুই শিশু সন্তান নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তার পরিবার।
আরিফের পরিবার সূত্র জানায়, আরিফ দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থাকার পর ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দেশে চলে আসে। পুনরায় জীবিকার তাগিদে প্রবাসে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে। শরীফ ও তার পরিবারের সাথে বিরোধের জেরে বিভিন্নসময় মারধর ও প্রাননাশের হুমকি-ধামকি এবং মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়। গত ২৪ এপ্রিল ফেনী মডেল থানার এসআই অলি আহাদ বাড়ি থেকে আরিফকে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন শরীফ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তাকে একেএকে আরো পুলিশের দায়ের করা ৫ মামলায় ফেনী জি.আর-১৯/২৪ইং, ধারা-বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর ১৫ (৩), ফেনী জি.আর-৬৫৯/২০২৩ইং, ধারা-১৪৯৩/৩২৩/৩২৪/ ৩২৮/৩২৯/৩০৭/৪২৭/৩৪ দন্ডবিধি, ফেনী জি.আর-৬১৫/২০২৩ইং, ধারা-বিশেষ ক্ষমতা আইন। ১৯৭০ এর ১০ (৩), ফেনী জি.আর-৬৬১/২০২৩ইং, বারা-বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ১৫ (০), ফেনী জি.আর-১৯/২৪টা, যারা-বিশেষ জনতা আইন ১৯৭৪ এর ১৫ (৩) মামলা সমূহে তাকে সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়।
ভুক্তভোগী আরিফের স্ত্রী রেহানা আক্তার তারা জানান, তার স্বামী কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নেই। জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার পঞ্চকোনা ইউনিয়নের খারইখালী গ্রামের আলী আকবর শেখের ছেলে মো: কামালের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি অনুযায়ী তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশ আদালতকে জানায়।
রেহানা আরো জানান, পুলিশের ৫ মামলার মধ্যে চারটি মামলায় গাড়ী পোড়ানো। পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে শরীফ এসব মামলায় আরিফকে জড়িয়ে দেয়। পরিবারের সদস্যদের আরো মামলায় জড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। তিনি ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ প্রসঙ্গে এসআই অলি আহাদ জানান, তার দুটি তদন্তাধীন মামলায় আরিফকে দেখানো হয়েছে। তার পরিবারের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।