অনলাইন ডেস্ক :
কোরবানির ঈদে অধিকাংশ পরিবারেই একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ মাংস জমা হয়। সেই মাংস সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে দ্রুতই স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিগুণ হারাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটু সচেতনতা ও সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করলেই মাংস দীর্ঘদিন সুস্থভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন মাংস
তাজা মাংস থেকে রক্ত ও পানি ভালোভাবে সরিয়ে ফেলার পর তা সংরক্ষণযোগ্য হয়। এরপর মাংসকে পলিথিন ব্যাগ, ফয়েল পেপার বা জিপলক ব্যাগে ভরে মাইনাস ৪ থেকে মাইনাস ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। এভাবে সংরক্ষিত মাংস ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে।
তপ্ত মাংস সরাসরি ফ্রিজে নয়
মাংস কাটার পর তা সাধারণত কিছুটা গরম থাকে। অনেকে ভুল করে গরম অবস্থাতেই ফ্রিজে ঢুকিয়ে দেন। এটি অত্যন্ত ক্ষতিকর অভ্যাস। গরম মাংস ফ্রিজে রাখলে তাপমাত্রা বাড়ে এবং ফ্রিজের অন্যান্য সংরক্ষিত খাবারও নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই মাংস সম্পূর্ণ ঠান্ডা হওয়ার পরই ফ্রিজে রাখা উচিত।
চর্বি সরিয়ে ছোট ছোট প্যাকেটে ভাগ করুন
মাংসে থাকা অতিরিক্ত চর্বি দ্রুত পচন সৃষ্টি করতে পারে। তাই সংরক্ষণের আগে চর্বি যতটা সম্ভব সরিয়ে ফেলুন। এরপর মাংসকে ছোট ছোট প্যাকেটে ভাগ করে ফ্রিজে রাখলে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা সহজ হয় এবং বারবার ফ্রিজ থেকে বের করে গলিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
বড় প্যাকেট নয়, একবারে ব্যবহারের উপযোগী ছোট প্যাকেটেই রাখুন। একবার খোলা প্যাকেট আবার ফ্রিজে রাখলে তা সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
প্যাকেটের মধ্যে কাগজ রাখুন
অনেক সময় একাধিক প্যাকেট একসঙ্গে রাখলে তারা একে অপরের সঙ্গে আটকে যায়। এ সমস্যা এড়াতে প্যাকেটের মাঝে একটি করে কাগজ রেখে সংরক্ষণ করলে তা সহজে আলাদা করা সম্ভব হয়।
তারিখ লিখে রাখুন
মাংস ফ্রিজে রাখার সময় প্রতিটি প্যাকেটের গায়ে সংরক্ষণের তারিখ লিখে রাখুন। এতে কোন প্যাকেট আগে রাখা হয়েছে তা জানা সহজ হবে এবং সময়মতো ব্যবহারে সুবিধা হবে।
অতিরিক্ত কিছু পরামর্শ
- মাংস সংরক্ষণের জন্য সবচেয়ে ভালো হচ্ছে ভ্যাকুয়াম সিল প্যাকেট, যদি সেটার সুবিধা থাকে।
- রেফ্রিজারেটরের দরজা বারবার খোলা বন্ধ করলে তাপমাত্রায় তারতম্য হয়—এটি মাংসের মানের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
- যেসব অংশ আগে রান্না করবেন না, সেগুলো আলাদা চিহ্ন দিয়ে রাখলে কাজে সুবিধা হয়।