নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী শহরতলীর পাঁচবাছিয়া বাজারে পশু জবাইখানা দখলে নিয়েছে একটি চক্র। ফলে দীর্ঘদিন নির্ধারিত স্থানে জবাই না হওয়ায় স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে কিনা এনিয়ে সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
পৌরসভা সূত্র জানায়, সোমবার বিকালে পাঁচগাছিয়া বাজার পরিদর্শনে পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। এসময় তিনি স্থানীয়দের নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লিংক রোডের পাশেই বাজারে প্রবেশের মুখে জবাইখানা পরিদর্শন করতে যান। সেখানে জবাইখানার দুইদিক দিয়ে টিনশেড বিল্ডিং করে দোকানপাট গড়ে তোলা হয়েছে। দোকানের ভিতরে গিয়ে মেয়র স্বপন মিয়াজী দেখতে পান জবাইখানায় গরু-ছাগল জবাইয়ের স্মৃতিচিহ্নও নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জবাইখানায় একটি গরুর খামার রয়েছে। ওই খামার সহ দোকানঘর থেকে মাসিক হারে নির্ধারিত ভাড়া আদায় করতেন একটি চক্র।
মাংস বিক্রেতা নুর নবী জানান, তিনি পাঁচগাছিয়া বাজারে ১৫-২০ বছর ধরে গরুর মাংস পাইকারি হারে বিক্রি করেন। জবাইখানা না থাকায় ফেনী শহর থেকে জবাই করে সেখানে বিক্রি করা হয়।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ডালিম জানান, পৌরসভার নাম ভাঙিয়ে একটি চক্র দোকানঘর নির্মাণ করে। সেখানে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে গরু জবাই নিশ্চিত করতে পৌর কর্তৃপক্ষ জবাইখানা নির্মাণ করলে ভোক্তারা উপকৃত হবে।
পৌরসভার বাজার পরিদর্শক মো: মাসুদুল হক মজুমদার জানান, তৎকালীন মেয়র হাজী আলাউদ্দিনের সময়কালে জবাইখানাটি একবার ভেঙ্গে পড়ে গিয়েছিল। তখন এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে প্রতিবছর ওই জবাইখানা থেকে দুই লাখ টাকা পৌরসভার আয় হতো। দোকান নির্মাণ ও ভাড়া আদায়ের বিষয়ে তার কিছু জানা নেই।
পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, বাজারে কয়েকটি শেড, জবাইখানা, ড্রেন, শৌচাগার নির্মাণে পৌরসভার উদ্যোগ রয়েছে। তবে জবাইখানার আশপাশে এভাবে দোকান নির্মাণের বিষয়টি তাকে কেউ জানায়নি। জবাইখানা সহ অবৈধ স্থাপনা ও পৌরসভার জায়গা উদ্ধারে ব্যবস্থা গ্রহণে সার্ভেয়ারদের পরিমাপ সহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।