নিজস্ব প্রতিনিধি :
তালাক হয়েছে প্রায় দুই মাস আগে। আদালতে বিচারাধীন এমন বিষয় নিয়ে স্থানীয় সালিশদাররা দেনমোহর ও খোরপোষ নির্ধারণ করে সামাজিকভাবে নষ্পত্তি করেন। ভেঙ্গে যাওয়া এমন একটি সংসারের জোড়া লাগিয়ে দিয়েছেন আদালত। ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সিরাজ উদ্দিনের দেয়া এই রায় স্বামী-স্ত্রীকে আবারও একসঙ্গে জীবন কাটানোর সুযোগ করে দিলো। এসময় মামলার বাদী-বিবাদী, আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা আপ্লুত হয়ে পড়েন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মনোমালিন্যের জেরে আদালতে যৌতুকের মামলা করেন তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী। বিচারাধীন এ মামলা স্থানীয় সালিশদারগণ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় আপস মিমাংসা করেন। স্বামীর পরিবার ইতিমধ্যে সাড়ে ৩ লাখ সালিশদারদের কাছে জমাও দেন। বুধবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সিরাজ উদ্দিনের আদালতে ওই মামলার শুনানী হয়। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সালিশদারদের থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা এনে আদালতে জমা দেন। দেনমোহরের প্রাপ্য টাকা বাদিনীকে বুঝিয়ে দিতে আদালতে আনা হয়। মেয়ের উপর নানা নির্যাতনের বর্ণনা দেন বাবা।
আইনজীবীরা আরো জানান, গত দুই মাস আগে ওই গৃহবধু বাচ্চা প্রসব করেন। তখন দুইপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর জেরে বাচ্চা প্রসবের পরদিন মেয়েকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সন্তানকে দেখতে গিয়ে শশুর বাড়ির লোকজনের পিটুনীর শিকার হয়ে স্ত্রীকে তালাক দেন স্বামী। একপর্যায়ে আদালতের সিদ্ধান্তে বুধবার বিকালে তালাক প্রত্যাহারের পর পরস্পরকে বুকে জড়িয়ে ধরলে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।