কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় একে পোলট্রি ফিড নামে একটি কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলা চলাকালে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে জাতীয় সেবা ৯৯৯এ কল দিলে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে তারা চলে যায়।
রোববার রাত ১০টায় উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার গোয়ালের পোল এলাকায় একে পোলট্রি ফিড কারখানায় হেলমেট পরা ২০-৩০ জন দুর্বৃত্ত এ ঘটনা ঘটায়।
জানা যায়, রাত পৌনে ১০টার দিকে হেলমেট পরা ২০-৩০টি মোটরসাইকেল নিয়ে বসুরহাট-কবিরহাট সড়কের পাশের গোয়ালের পোল এলাকায় একে পোলট্রি ফিড কারখানার সামনে অবস্থান নেন। কারখানার সামনে থাকা কর্মচারীরা ভয়ে ভেতরের দিকে চলে গেলে হেলমেট পরা ওই দুর্বৃত্তরা কারখানার কার্যালয়ের অফিস কক্ষে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। ভয় ও আতঙ্কে কারখানার পরিচালক ও কর্মচারীরা নিরাপদ স্থানে চলে যান। ভেতরে হামলা ও ভাঙচুর শেষে কিছুক্ষন কারখানার সামনে ও আশপাশে মহড়া দিয়ে বসুরহাট বাজারের দিকে চলে যায়। পরে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
কারখানার পরিচালক ফারুক বলেন, তার বাবা আবুল কালাম ২০০০সালে পোলট্রি ফিড কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করেন। রাতে মুখোশ ও হেলমেট পরা ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল করে তাাদের কারখানায় হামলা চালায়। হামলাকারীরা কারখানার অফিস কক্ষে ব্যবহৃত কম্পিউটার, আসবাবপত্রসহ সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। এ সময় হামলাকারীরা অন্তত ১৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। হামলা ও ভাঙচুরে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় তিনি কারখানাতেই ছিলেন। হামলাকারীদের ভাঙচুর করতে দেখে তিনি দৌড়ে ভেতরের দিকে ঢুকে যান। এরপর তিনি থানায় ফোন দেন। প্রথম কেউ ফোন ধরেননি। পরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, একে পোলট্রি কারখানায় হামলা ও ভাঙচুরের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তবে কে বা কারা হামলা করেছে তা কারখানার মালিকপক্ষ বলতে পারেনি। এরপরও ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।