সাইদ হোসেন সাহেদ :
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ফুলগাজীতে পানি সরে যাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন কৃষকরা। সবজির চারা উৎপাদন ও রোপনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, একশ শতক জায়গায় তিনি লাল শাক, মুলা শাক, লাউ, চিচিঙ্গা, পালং শাক রোপন করেছেন। গত রবিবার থেকে তার উৎপাদিত শাক বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন। মুলার শাক প্রতি আটি ২৫ টাকা করে বিক্রি করছেন।
তিনি আরো বলেন, গত বছর এসময়ে প্রতি আটি বিক্রি ৫-৭ টাকা। আগামী শুক্রবার লাল শাক বাজারে বিক্রি করবেন। লাউ আসতে আরো ২০-২৫ দিন লাগবে। প্রতি বছর সময় এ মাস অনুযায়ী ১শ শতক জায়গায় আলু, লাউ, মরিচ, কপি, গাজর, স্কোয়াস, টমেটো, সীম, বরবটি, ঢ়েঢ়শ, খিরা, বেগুন, লাল শাক, মুলা শাক, কুমড়া, শরিষা চাষ করে থাকেন।
কৃষকরা জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোন সহযোগিতা ও পরামর্শ না পাওয়ায় কৃষকদের বেগ পেতে হয়। তারা পর্যাপ্ত সহযোগিতা পেলে চাষ করতে হবে।
দরবারপুর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের স্বপন জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ১ একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের লাউ চাষ করেছেন। আবহাওয়া ভাল থাকলে ভালো উৎপাদন হবে। তবে আগাম চাষের কারনে পোকা সহ বিভিন্ন রোগের আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে।
সদর ইউনিয়নের কিসমত বাসুরা গ্রামের ইয়াকুব আলী জানান, ৪-৫ জন কৃষক ৪ একর খিরা চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত চার উঠে নাই। গতবছর এদিনে তারা খিরা বিক্রি করেছেন। বন্যাার ারনে দেরি হয়েছে। এখন খিরা তুলতে পারলে প্রতি কেজি ১শ টাকা দরে বিক্রি করা যেত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বন্যার পরবর্তীতে বাড়িতে শাকসবজি চাষাবাদের জন্য ৩ হাজার ২শ ৪০ জনকে ১ কেজি ২শ ৩০ গ্রাম করে উপশি জাতের বীজ দেয়া হবে। একইসাথে বিকাশে ১হাজার টাকা করে দেয়া হবে। ৫ হাজার ৮ কৃষকের মাঝে ৮ প্রকারের ৪০ গ্রাম করে বীজ ও ২০ কেজি সার দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, রবি মৌসুমি ১ হাজার ৫ শ৬০ জনকে ১৫৬০ বিঘা জমির জন্য ১০টি ফসল, গম, ভুট্টা, ফেলন, মুশারি, খেসারি, মুগ, সরিষা, চিনা বাদাম, সূর্যমুখি, বীজ জমি পরিমান হিসাবে ২ ধরনের সার ও বীজ দেয়া হবে। কিছুদিনের মধ্যে স্থানীয় কৃষকেরা কুমিল্লা থেকে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চারা সংগ্রহ করে রোপণ করতে পারবেন।