নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনীতে জমজমাট আয়োজনে জনপ্রিয় ও পাঠক নন্দিত দৈনিক নয়া দিগন্তের ২ দশক পূর্তি উৎসব উদযপন হয়েছে। রবিবার দুপুরে শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরেণ্য শিল্পউদ্যোক্তা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। নয়া দিগন্ত ফেনী অফিসের স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো: হাবিবুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও ফেনী পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, জামায়াতে ইসলামীর নবনির্বাচিত জেলা আমির মুফতী আবদুল হান্নান, স্টার লাইন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন, দৈনিক প্রথম আলো প্রতিনিধি আবু তাহের প্রমূখ। নয়া দিগন্ত প্রিয়জন সমাবেশের আহবায়ক মামুনুর রশিদের সঞ্চালনায় শুরুতে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া করেন ফেনীর আল-জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা ফারুক আহমাদ।
আবদুল আউয়াল মিন্টু অতীত ভুলে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নত ফেনী গড়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন অন্তবর্তী সরকার গঠন হয়েছে। এই সরকারকে জনগনের আকাঙ্খার সরকার বলা যাবে। তবে গনতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকার বলা যাবে না। এই সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, সমর্থন দিয়ে যাব। নির্বাচনী, সাংবিধানিক, সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক সহ বিভিন্ন সংস্কার করা হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে সুস্পষ্ট রোড ম্যাপ চাই। যৌক্তিক সময় বলে দীর্ঘসময় ঠিক হবে না। এটাতে আমি বিশ^াস করিনা। টেকসই সংস্কার প্রয়োজন। টেকসই না হলে সংস্কার হবে মূল্যহীন।
তিনি আরো বলেন, সংস্কার সেরে অতি দ্রুত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিয়ে দেন। অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিতামূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দীর্ঘদিন স্বৈরাচারি সরকারের নির্যাতন-নিষ্পেষনে ছিলাম। মারামারি করে বিভক্তির মাধ্যমে সমাধান হবে না। অতীতে যারা অন্যায় করেছে অবশ্যই তাদের বিচার হতে হবে। আইনকে নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবেনা।
মিন্টু আরো বলেন, বিগত ১৬ বছরে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শরিক হতে গিয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার মামলায় ৬২ লাখ রাজনৈতিক নেতা কর্মীকে আসামি করা হয়েছিল। জুলাই-আগস্টে যারা অগ্রণী ভুমিকা রেখেছেন আমরা তাদেরকে স্মরণ করতে চাই। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী সহ যারা গত ১৬ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন এবং মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে গেছেন তাদেরকে ভুলে গেলে চলবে না। এই সময়ের মধ্যে আন্দোলন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের ভুলে গেলে চলবে না। তাদের অবদানও স্মরণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাইয়ুম সোহাগ ছাড়াও জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক গাজী হাবিব উল্যাহ মানিক, এয়াকুব নবী ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তার ও যুগ্ম-সম্পাদক এমদাদ হোসেন, জেলা কালচারাল অফিসার এসএমটি কামরান হাসান, জামায়াতে ইসলামীর জেলা প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম আবদুর রহীম, রাজনৈতিক সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক মানিক ও শহর আমির মুহাম্মদ ইলিয়াছ, পৌর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মুশফিকুর রহমান পিপুল, গ্লোবাল ওয়েল কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ লুব ব্লেন্ডার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ অর্পন, সুজন কুমিল্লা অঞ্চল সমন্বয়ক সৈয়দ নাছির উদ্দিন, ফেনী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি একেএম আবদুর রহীম, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুকদেব নাথ তপন ও সাধারণ সম্পাদক এমএ জাফর, দৈনিক স্টার লাইন সহযোগি সম্পাদক জসিম মাহমুদ, দৈনিক ফেনী সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভী, নয়াপয়গাম সম্পাদক এনামুল হক, জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত ও যুগ্ম-সম্পাদক আমজাদ হোসেন সুমন, মহিলা দল সভাপতি জুলেখা আক্তার ডেইজী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি কফিল উদ্দিন মামুন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এসএম কায়সার এলিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ সবুজ, ছাত্রদল সভাপতি সালাহউদ্দিন মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন, পৌর যুবদল আহবায়ক জাহিদ হোসেন বাবলু, যুগ্ম-আহবায়ক হায়দার আলী রাসেল পাটোয়ারী, জেলা ছাত্রদল সহ-সভাপতি ফরহাদ উদ্দিন চৌধুরী মিল্লাত, ফখরুদ্দিন সেন্টু, যুগ্ম-সম্পাদক নজরুল ইসলাম দুলাল ও শওকত আলী জুয়েল পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকের হোসেন রিয়াদ, দপ্তর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সুমন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলা ছাত্রদল আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন ও ফেনী সরকারি কলেজ সভাপতি আবদুল হালিম মানিক, পায়রা শিশু কিশোর সংগঠনের সভাপতি জাহিদ হোসেন বাবলু, নজরুল একাডেমীর জেলা সভাপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমদ তিতু, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মহিউদ্দিন খোন্দকার, জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ হোসেন, শহর ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান সোহেল, রোটারী ক্লাব অব ফেনী সেন্ট্রালের ফাস্ট প্রেসিডেন্ট কেফায়েত উল্যাহ চৌধুরী, ইয়ুথ জার্নালিষ্ট ফোরামের সভাপতি শাহজালাল ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান হাজারী ডালিম, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি এম এমরান পাটোয়ারী, সোনাগাজী প্রেস ক্লাব সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সদ্য সাবেক সভাপতি শেখ আবদুল হান্নান, পরশুরাম প্রেস ক্লাব সভাপতি এম এ হাসান ও সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন, দাগনভূঞা প্রেস ক্লাব সাধারন সম্পাদক ইয়াছিন করিম রনি সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন।