আরিফ আজম :
ফেনীতে অন্তত ২৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ভাড়া বাড়িতেই চলছে। সরকারি নতুন দপ্তর এই জেলায় এলেও কার্যালয় না পাওয়ায় কার্যক্রম শুধুই কাগজেকলমে। এর মধ্যে জনবল সংকট সহ নানা সমস্যায় অনেক প্রতিষ্ঠান ডিমেতালে চালানো হচ্ছে। এজন্য জেলা সমন্বিত অফিস নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও জায়গা সংকটের কারণে সেটি স্থাপত্য অধিদপ্তরে ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে আছে।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, সরকারি ৬৫টি দপ্তর থাকলেও নিজস্ব কার্যালয় নেই অর্ধেকের মতো। ইতিমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য নিজস্ব কার্যালয় তৈরি করতে ‘সমন্বিত অফিস’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে ২৪টি কার্যালয়ের তালিকা করা হয়েছে। এনিয়ে বেশ কয়েকটি মিটিংও হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও গনপূর্ত সূত্র জানান, প্রস্তাবিত সমন্বিত অফিসের জন্য ১০ তলা ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়। ওই ভবনে নিজস্ব কার্যালয় না থাকা সরকারি দপ্তরসমূহের কার্যক্রম চলবে। নিজস্ব কার্যালয় না থাকা কার্যালয়ের তালিকায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জেলা তথ্য অফিস, সমাজসেবা কার্যালয়, ঔষুধ তত্ত¡াবধায়কের কার্যালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, প্রতিবন্ধী ও সাহায্য কেন্দ্র, সমবায় কার্যালয়, কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেল, আমার বাড়ি আমার প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, পরিসংখ্যান কার্যালয়, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, উপ-কর কমিশনার এর কার্যালয়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, বিআরটিএ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, এনএসআই, মন্দির ভিত্তিক শিশু কার্যক্রম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, বিআরডিবি, জেলা মার্কেটিং অফিস, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর, জেলা মহিলা সংস্থা।
কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারি পরিচালক নিহার কান্তি খীসা ফেনীর সময় কে জানান, “শহরের মহিপাল মিয়াজী বাড়ী সড়কের একটি ভাড়া ভবনে চলছে তার দাপ্তরিক কার্যক্রম। এজন্য তার দপ্তরকে ভাড়া গুনতে হয়। জেলা প্রশাসনের আওতায় একটি সমন্বিত অফিস হলে সেবাগ্রহীতারাও সেবা পাওয়া সহজ হবে।”
বিআরটিএ সহকারি পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন ফেনীর সময় কে জানান, “বিআরটিএ এর দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাতে অন্তত ৪ থেকে ৫টি কক্ষ প্রয়োজন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ক্যান্টিনের পাশে দ্বিতীয় তলায় কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে হয়।”
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ইউসুফ আলী ফেনীর সময় কে জানান, “নিজস্ব কার্যালয় না থাকায় দাপ্তরিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। শহরের পুরাতন রেজিষ্ট্রি অফিস সড়কে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ভাড়া ভবনে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এজন্য প্রতিমাসে ৩৫ হাজার টাকা ভাড়া গুনতে হয়।”
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান ফেনীর সময় কে বলেন, “শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি দপ্তর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলে কাজেও অসুবিধা হয়। সেবাগ্রহীতাদের কষ্ট ও সময় অপচয় হয়। এ চিন্তা থেকে ‘সমন্বিত অফিস’ নির্মাণের চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।”