শহর প্রতিনিধি :
ফেনীতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা এখন ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ। সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে জেলার নানা প্রান্ত থেকে। গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিশু রোগীর নির্ধারিত সংখ্যা ২৬। হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয়তলায় গতকাল রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে ৫৬। আগেরদিন শুক্রবার ভর্তি হয়েছে ৯ জন। শয্যার অভাবে মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছে অনেকে। কেউ এসেছে ঠান্ডা-জ্বর নিয়ে, কেউবা পাতলা পায়খানার সমস্যা নিয়ে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীও রয়েছেন।
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শ্যামলি রাণী বলেন, “এখন ঠান্ডাজনিত রোগী বেশি। বিশেষ করে জ্বর, নিউমোনিয়া, ফিভার, জন্ডিস, শ্বাসকষ্ট, খিচুনি রোগী বেড়েছে। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশী। মূলত শীতের প্রকোপ বাড়ায় এসব রোগীর সংখ্যা বাড়তেছে।”
জ্বর ও খিচুনিতে আক্রান্ত ১৮ মাস বয়সী শিশু বিবি ফাতেমাকে বুধবার হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন তার মা সালমা আক্তার। তিনি জানান, তার বাচ্চা অসুস্থ হওয়ায় সোনাগাজী থেকে এসেছেন। বুধবারে বাচ্চাকে এখানে ভর্তি করান। কিন্তু রোগীর চাপ বেশী হওয়ায় তিনি সীট পাননি।
ফেনী সদরের ধলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বিবি আয়েশাকে ভর্তি করা হয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যায়। বেড না পেয়ে সাড়ে তিনবছর বয়সী এ শিশুকে মেঝেতে রেখেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
তার পাশে ভর্তি নীল অঙ্গ। তার মা জানান, “বিভিন্ন টেস্ট দিয়েছে। প্রস্রাব টেস্ট দিয়েছে এবং বুকের টেস্ট দিয়েছে। বাচ্চা হঠাৎ শীত লেগে অসুস্থ হওয়ায় নিয়া আসছি।”
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা: আসিফ ইকবাল জানান, রোগীর চাপ বাড়ছে। যত ঠান্ডা পড়বে, ততই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক সংখ্যা কম থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।