নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের মহিপালে আন্ত:জেলা বাস টার্মিনালে প্রতিদিন রাখা হতো ঢাকা, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর সহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার বাস। স্থান সংকুলান না হওয়া এবং খানাখন্দে ভরে থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে সড়কের উপর রাখা হয় বাস। এর ফলে মহাসড়কে চলাচলকারী ছোট-বড় যানবাহনকে বেগ পেতে হয়। জনগুরুত্বপূর্ণ টার্মিনালটি ব্যবহার উপযোগী করতে উদ্যোগ নিয়েছে ফেনী পৌরসভা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় বাস টার্মিনালটি গড়ে তোলে ফেনী পৌরসভা। ওই টার্মিনালে ফেনী-নোয়াখালী, ফেনী-কুমিল্লা, ফেনী-খাগড়াছড়ি ও ফেনী-চট্টগ্রাম রুটের বাস রাখা হতো। প্রতি রাতে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি রাখা হতো। বর্তমানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বৃষ্টি হলে কাদা-পানি একাকার হয়ে টার্মিনালটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। রয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তুপও।
পৌরসভার প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মো: বাতেন টার্মিনাল পরিদর্শন করেন। তিনি সংস্কারকাজের জন্য একটি প্রকল্প তৈরির উদ্যোগের কথা জানান।
জানতে চাইলে গোলাম মো: বাতেন ফেনীর সময় কে বলেন, বাস টার্মিনালটি সংস্কারের অভাবে ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। পৌরসভার রাজস্ব তহবিল থেকে প্রাথমিকভাবে সংস্কার করা হয়েছে। আগামীতে এটি আধুনিকায়ন করা হলে ৪শ বাস রাখা যাবে। এতে করে একদিকে যেমন শহরের উপর যানজটের চাপ কমবে অন্যদিকে সুশৃঙ্খলভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা করা যাবে।
তিনি আরো বলেন, গণপরিবহনকে যাতে শৃঙ্খলার আওতায় আনা যায়, সেজন্য আমরা এই কাজটি হাতে নিয়েছি। দ্রুত উন্নয়ন কাজটি শুরু হবে। প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখানে আলাদাভাবে বাস রাখার জায়গা, যাত্রী ছাউনি ও শৌচাগার নির্মাণ করা হবে।