নিজস্ব প্রতিনিধি :
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিদায়ের মধ্য দিয়ে এই দেশ থেকে বৈষম্যের কবর রচনা হয়েছে। বাংলার জমিনে বৈষম্যের ঠাঁই নেই। এই দেশে পুরাতন রাজনীতি আর চলবে না। মানুষকে সম্মান দিতে হবে। আপনার পকেট ভারী হবে আর ১৮ কোটি মানুষ কষ্ট করবে তা হতে দেয়া হবে না। এখন বাংলাদেশের মানুষ অনেক সচেতন হয়ে গেছেন। রাজনীতির নামে অভিনয় করে এই জাতিকে আর বোকা বানানোর সুযোগ দেয়া হবে না। আগামী দিনের রাজনীতি হবে মেধা বৃত্তিক জাতি গঠন করা। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে নামে হত্যা করা হয়েছে। মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এবার ভয়াবহ বন্যায় মানুষের যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কোন মানুষের পুসিয়ে আনা সম্ভব নয়। আমরা সামান্য উপহার নিয়ে আপনাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। আপনাদের প্রতি আমাদের সীমাহীন ভালোবাসা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর সোনাগাজী পৌর চত্বরে জামায়াতে ইসলামীর পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা আমীর মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তফার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর সহকারী সেক্রেটারি ডা: মো: ফখরুদ্দিন মানিক, ফেনী জেলা আমীর একেএম শামছুদ্দীন, সেক্রেটারি মুফতি আবদুল হান্নান, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবদুর রহিম, সদর উপজেলার সাবেক আমীর অধ্যাপক হাবিব উল্যাহ বাহার, সোনাগাজী উপজেলা সেক্রেটারি মাস্টার বদরুদ্দোজা, পৌর আমীর মাওলানা কালিম উল্যাহ, সেক্রেটারি মুহাম্মদ মহসিন প্রমুখ।
মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন আরো বলেন, এই বাংলার মাটিতে চক্রান্তকারীদের ঠাঁই হবে না। নতুন সরকার আসলে দেশের নানাবিধ সমস্যা সমাধানে কাজ করবে। এটি হচ্ছে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সরকার। এদেশের তরুণ প্রজন্ম ছাত্র-জনতা চমৎকারভাবে ট্রাফিক হিসেবেও যানজট নিরসনে কাজ করেছেন। হাসিনা বলেছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ালে ১ লাখ মানুষ মারা যাবে। কিন্তু সেটা হয়নি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী কিছুসংখ্যক পুলিশ বাহিনীর গুলিতে ছাত্র-জনতাকে নির্মমভাবে গুলি করে শহীদ করেছেন। গুলিবর্ষণকারীরা বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। জামায়াতে ইসলামী শোডাউনের মধ্যদিয়ে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে চায় না। জামায়াতে ইসলামী দাওয়াতী কাজের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে চায়। জামায়াত ক্ষমতায় আসলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে বসবাস করার মতো পরিবেশ তৈরি করবে। জামায়াতের কোনো কর্মী লোভী নয়। জামায়াত কল্যাণমুখী কাজের মাধ্যমে এই দেশকে এগিয়ে নিতে চায়। সারাদেশের ন্যায় সোনাগাজীবাসীরও উন্নয়ন করা হবে। আদর্শ, চরিত্র ও মাধুর্য দিয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে হবে।
ডা: মো: ফখরুদ্দিন মানিক বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন সুনিশ্চিত হয়েছে। ছাত্র-জনতা যে বৈষম্য বিরোধী দেশ চেয়েছেন আমরা সেই সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কোন দুষ্কৃতকারী যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ফেনীতে কোন আধিপত্য বিস্তারকারীর ঠাঁই হবে না।