নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শহীদ শাহাবউদ্দিন ছাত্রাবাসের আধিপত্য নিয়ে আভ্যন্তরীন বিরোধের জের ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য। ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রæপের সমর্থকদের দাপটে সুপার ও কেয়ারটেকারদের কাছে ছাত্রাবাসের নিয়ন্ত্রন নেই। কারণ সিট বরাদ্দ না থাকলেও ইনস্টিটিউটের নিয়ম ভঙ্গ করেই ওই ছাত্রাবাসে দখল নেন স্বয়ং সভাপতি হাবিবুর রহমান শিপন মিশু ও সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন পারভেজ চৌধুরী।
ইনস্টিটিউট প্রশাসন ও একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, কুমিল্লার বুড়িচং থানার বাসিন্দা মিশু পাওয়ার ডিপার্টমেন্টের ৬ষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থী। একসময় তার নামে সিট বরাদ্ধ থাকলেও এক বছর লস হওয়ায় সেটি বাতিল করে ইনস্টিটিউট প্রশাসন। ভিন্নরকম অবস্থা সিভিল ৬ষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থী পারভেজের ক্ষেত্রে। গ্রামের বাড়ি ফুলগাজী হলেও তার জন্য ছাত্রাবাসে সিট বরাদ্দ নেই। কিন্তু তারা দু’জনই যথাক্রমে শহীদ শাহাবউদ্দিন ছাত্রাবাসের দ্বিতীয় ২০৪ ও ২০৭নং কক্ষে থাকেন দীর্ঘদিন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রাবাসের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তারা ইনস্টিটিউটের কোন নিয়ম না মেনেই ছাত্রাবাসের দুটি কক্ষ দখলে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মিশু ও পারভেজ ছাত্রাবাসে খাওয়া বাবদ কোন টাকাও পরিশোধ করেন না। বরং ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্নসময় তারা ও তাদের অনুসারীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের র্যাগিং এমনকি ছোটখাট ঘটনায় বিবাদে জড়িয়ে মারামারি নতুন নয়। মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রাবাস সংলগ্ন মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে দুইপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়।
ছাত্রাবাসটির সুপার মেকানিক্যাল বিভাগের চীফ ইনস্ট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান জানান, এটি নতুন নয়, তাদের দুইজনের সিট বরাদ্দ না থাকার বিষয়টি ছাত্রলীগের জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দও জানেন। এর বেশি তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী প্রদীপ্ত খিসা জানান, নিয়মবহির্ভূতভাবে মিশু ও পারভেজ ছাত্রাবাসে থাকার বিষয়টি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হবে। ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে। এখানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।