নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনীতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতি অম্লান করে রাখতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। শনিবার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে “জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সকল শহীদ ও আহতদের স্মরণে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে স্মরণসভায় বক্তাগণ বলেছেন, ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, ফেনী পৌরসভা অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছে। এলজিইডি, সড়ক বিভাগ সহ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণে প্রদক্ষেপ গ্রহণে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নিবে। একই অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যের হৃদয়গ্রাহী স্মৃতিচারণে মিলনায়তন পিনপতন নিরব হয়ে পড়ে। এসময় অনেককে চোখের পানি মুছতে দেখা গেছে। শহীদ পরিবারের সদস্যরা অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান। কেউ কেউ সদ্য প্রত্যাহার হওয়া জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া খুনিদের গ্রেফতারে বিলম্ব হওয়ায়ও তারা অসন্তোষ জানান। আহতদের চিকিৎসায় সংশ্লিষ্টদের অবহেলার চিত্রও তুলে ধরেন। শহীদদের স্বজনরা বলেন, এ বিপ্লব কোন ব্যক্তি বা দলের স্বার্থ হাসিলের জন্য নয়। এই বিপ্লব দেশকে জালিম মুক্ত করার। বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে নতুন করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। না হয় ছাত্র-জনতা কাউকে ক্ষমা করবেনা।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন, সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্বীন মোহাম্মদ বক্তব্য রাখেন।
জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা এস.এম.টি কামরান হাসানের পরিচালনায় শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে ইসতিয়াক আহমদ শ্রাবণের পিতা নেছার আহমদ, মাহবুবুর রহমান মাসুমের ভাই মনজুরুল হাসান, আব্দুল গণি বোরহানের ভাই আমানত উল্লাহ, শহীদ ইকরাম হোসেন কাওসারের পিতা মাওলানা আনোয়ার হোসেন ও সরোয়ার জাহান মাসুদের চাচাতো ভাই মোর্শেদুল আলম, আহতদের মধ্যে শাহরিয়ার ইসলাম আলভিন, সালেহ উদ্দিন শাওন, আবু জাফর ইকবাল ও মোসলেহ উদ্দিন শান্ত স্মৃতিচারণ করেন। কবিতা আবৃত্তি করেন নুর উদ্দিন রনি।