নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের মহিপাল থেকে নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর যাতায়াতকারীদের উঠানামা ও পথচারীদের জন্য সড়কের উপর নির্মাণ করা হয় যাত্রী ছাউনি। আর ছাউনির সামনেই বসানো হয়েছে ফল দোকান। রবিবার সরেজমিনে মহিপাল গিয়ে দেখা গেছে এ চিত্র।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েকবছর আগেও এখানে গণশৌাচাগার ছিল। তার পাশেই ফেলা হতো ময়লা-আবর্জনা। ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। কখনো কখনো নাকে রুমাল চেপে চলাচল করতে হতো। বর্তমান মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী দায়িত্ব গ্রহণের পর সেখান থেকে নিয়মিত বর্জ্য অপসারনের ব্যবস্থা করা হয়। সম্প্রতি সেখানে পরিবর্তন সোসাইটি নামে একটি সংস্থা সেমিফাকা ঘর নির্মাণ করে। ওই ঘরের উপরে যাত্রী ছাউনি নামে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়। কিছুদিন পর ছাউনির সামনেই বসানো হয় ফল দোকান। জনৈক শাহাদাতকে মাসিক ভাড়ার ভিত্তিতে জায়গাটি ভাড়া দেয়া হয়। এজন্য প্রতি মাসে তার কাছ থেকে আদায় করা হয় ৩ হাজার টাকা।
পথচারীদের অনেকে জানান, মহিপাল একটি ব্যস্ততম এলাকা। নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর যাতায়াত করতে গিয়ে অনেকসময় অপেক্ষা করতে হয়। সেজন্য বসার কোন নির্ধারিত স্থান নেই। কিছুদিন আগে যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি ছাউনি নির্মাণ করা হলেও তার সামনে দোকান ভাড়া দেয়া হয়। সেজন্য ছাউনিতে কারো বসার পরিবেশ নেই।
ফল দোকানী শাহাদাত হোসেন জানান, দোকানটি দেয়ার পর থেকে আলাউদ্দিন নামে একজনকে মাসে ৬ হাজার টাকা ভাড়া দিই।
পরিবর্তন সোসাইটির চেয়ারম্যান ও বালিগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জানান, জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০টি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে দুটি নির্মিত হয়েছে। তবে ছাউনির সামনে ফল দোকান বসিয়ে ভাড়া আদায়ের সাথে পরিবর্তন সোসাইটির কেউ জড়িত নয়।